News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

শুল্ক অর্ধেক কমিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত থেকে সরে দাঁড়াল ভারত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-09-14, 4:13pm

img_20240914_161118-c6e27e47cec9fb87b61a6ae449c638da1726308786.jpg




ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছে। পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়ে বলেছে, হ্রাসকৃত শুল্ক শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য বা ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস’–সংক্রান্ত শর্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানায়। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বের কার্যকর হবে। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যেকোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে পেঁয়াজ রপ্তানির ন্যূনতম রপ্তানি শর্ত প্রত্যাহার করেছে। চলতি বছরের মে মাসে দেশটির মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল, তবে ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য বেঁধে দিয়েছিল।

ভারত একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলারে নির্ধারণ করে দেয়। এ ছাড়া রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার।

ভারতের এই দুই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ছিল দেশটি থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করা। দিল্লির এই পদক্ষেপ ভারত থেকে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে সাহায্য করে।

ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কেবল জুন মাসেই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরর বেশি পড়ে গেছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১৭ হাজার টন। ভারতে এপ্রিল থেকে অর্থবছর শুরু হয়।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ, প্রতিবেশী দেশটি থেকে দ্রুত পণ্য আনা যায় এবং বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে বেশি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও বলেছে, মহারাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পেঁয়াজ চাষিদের এই সুবিধা দেওয়া হলো। মহারাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা। পেঁয়াজ রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে এই রাজ্যের চাষিরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।