স্লট অনুমোদন না হওয়ায় ভারতে আটকে আছে প্রায় ১০০টির মতো আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের ট্রাক। ছাড় না পেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল দশটায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হওয়ার পর ভারত থেকে বন্দরে পাঁচটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের পরেই বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদা থাকায় ভারত থেকে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছি। আমরা যে পণ্যগুলো আমদানি করছি সেগুলো নাসিক, পাঞ্জাব হরিয়ানাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমদানি করতে হয়। হিলি স্থলবন্দর থেকে দূরত্ব প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার, বন্দরে আসতে সময় লাগে ৪ থেকে ৬ দিন পর্যন্ত।’
তিনি বলেন, ‘গতকালকে আমরা জানতে পেরেছি, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার স্লট বুকিং বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের আলু, পেঁয়াজের ট্রাকগুলো লোডিং অবস্থায় ছিল; সেগুলো আস্তে আস্তে ভারতের হিলি পার্কিংয়ে আসতে শুরু করেছে। স্লট অনুমোদন না হওয়ায় ট্রাকগুলো ভারতের কাস্টমস অনুমতি দেয়নি।’
এ বিষয়ে আলু আমদানিকারক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে আমাদের ছয়টি আলুবোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে যার মধ্যে চারটি নতুন। আলুর ট্রাক ভারতের পার্কিংয়ে আসতে চারদিন সময় লেগেছে। এরপরেও স্লটের বুকিংয়ের কারণে ভারতে ট্রাকগুলো আটকে আছে।’
তিনি বলেন, ‘কালকের মধ্যে ট্রাক যদি বাংলাদেশে প্রবেশ না করে তাহলে ট্রাকের আলুগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে অনেক বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে আমাদের। তবে ভারতের রফতানিকারক ব্যবসায়ীরা আশ্বাস দিয়েছেন আগামীকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) আলু এবং পেঁয়াজ প্রবেশ করতে পারে।’ সময় সংবাদ