News update
  • No Media Faced Arson Attacks in 53 Years: Mahfuz Anam     |     
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     

নিষেধাজ্ঞার মাঝেই চলছে ইলিশ শিকার, পদ্মাপাড়ে হাট বসিয়ে বিক্রি!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-10-17, 3:18pm

0d1c6c12dd2200fd7472f7153de78af28534a5d2f38056a2-c18a55c288bedb093f57c737e9d1152c1760692715.jpg




সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা পাড়ের ভ্রাম্যমাণ হাটে মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা মাছ কিনতে ভিড় করছেন। এতে চলতি মৌসুমে ইলিশের প্রজনন প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে জেলেদের হামলার ভয়ে মৎস্য কর্মকর্তারাও বারবার অভিযানে যেতে অনেকটাই অসহায় বোধ করছেন। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মা ইলিশ রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অসাধুদের নিয়মিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইলিশ শিকার থেমে নেই। অসাধু জেলেরা দিনরাত পদ্মায় জাল ফেলছে এবং নদীপাড়েই বসিয়েছেন ইলিশের ‘হাট’। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রকাশ্যেই চলছে মা ইলিশের বিক্রি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা বেষ্টিত বন্দরখোলা, মাদবরেরচর, চরজানাজাত ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ে প্রতিদিনই অস্থায়ী হাট বসছে। একের পর এক মাছ ধরার ট্রলার ঘাটে ভিড় করছে। জেলেরা ঝুড়ি ভরে মাছ নিয়ে পাড়ে নামছেন এবং পরে ডালি সাজিয়ে মাছ বিক্রি করছেন।

 এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইলিশের প্রজনন। তবে জেলেরা বলছেন, সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরছেন। শিবচরের পেয়াজখালি এলাকার বাসিন্দা ও জেলে বজলু ব্যাপারী বলেন, ‘সংসারে অভাব-অনটন থাকায় আমরা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও মাছ শিকার করছি। সরকারিভাবে আমাদের কোনো সহযোগিতা নেই। এমনকি তালিকায় আমাদের নামও নেই।’

 পদ্মার চরের দেয়ারা এলাকার রতন বয়াতি বলেন, ‘আমরা কয়েকজন সকাল থেকে পদ্মায় মাছ ধরে নিয়ে বিক্রি করছি। সরকারের সহযোগিতা থাকলে এমনভাবে মা ইলিশ শিকার করতাম না। কিন্তু সরকারিভাবে কখনও কেউ আমাদের সাহায্য করেনি।’

অন্যদিকে ক্রেতারা পদ্মার টাটকা ইলিশ পেতে হাটে ভিড় করছেন। সুজন কাজী নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘তাজা ইলিশ বাজারে কখনও পাই না। পদ্মার পাড়ে টাটকা ইলিশ পাওয়া যায়, এমন খবর শুনে এসেছি। তবে দাম চড়া, তাই সীমিত পরিমাণে নিচ্ছি।’

আরেক ক্রেতা রবিউল ইসলাম জানান, ‘৪ কেজি ইলিশ কিনেছি। প্রতিটি মাছের ওজন এক কেজি, দাম হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সকাল থেকেই এখানে মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।’

একদিকে দুর্গম এলাকা, অন্যদিকে জেলেদের হামলার ভয়ে মৎস্য কর্মকর্তারাও অভিযানে যেতে অনেকটা অসহায়। মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান বলেন, ‘পদ্মার চরের মধ্যে লুকিয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরে ও বিক্রি করছে। তাদের লোকজন বেশি হওয়ায় আমাদের ওপর হামলার আশঙ্কা থাকে। তারপরও সেনাবাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে মিলিতভাবে অভিযান চালাচ্ছি।’

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে নিয়মিত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালানো হচ্ছে। অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এবং তাদেরকে জেল ও জরিমানা করা হচ্ছে। অভিযান আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।’

প্রসঙ্গত, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার সারাদেশে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছে।