শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বেইলআউট সুরক্ষিত করতে সক্ষম একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে রাজাপাকসের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় বিক্রমাসিংহে অনেক বিক্ষোভকারীর কাছেও অজনপ্রিয়। তিনি গোটাবায়ার অধীনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একটি সর্বদলীয় সরকার গঠন করবেন এমন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও নতুন মন্ত্রিসভায় তার বেশিরভাগ নিয়োগ রাজাপাকসের অনুগতদের মধ্য থেকে বেছে নেয়া হয়েছে।
রাজাপাকসে পরিবার ১৭ বছর ধরে দেশটি শাসন করেছে এবং শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া হবার পেছনে রাজাপাকসেকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়েছে। দেশটির মোট ঋণ ৫ হাজার ১ শ কোটি ডলার এবং বৈদেশিক রিজার্ভ মাত্র ১৭০ কোটি ডলার। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঋণের বাধ্যবাধকতার জন্য এবং এই বছরের বাকি সময় শ্রীলঙ্কাকে টিকিয়ে রাখতে ৭শ কোটি ডলার প্রয়োজন।
ইন্দোনেশিয়ায় জি-২০ অর্থ বিষয়ক কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠনের জন্য চীনকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “শ্রীলঙ্কা স্পষ্টতই সেই ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম।”
আইএমএফ-এর যেকোনো প্রকার চুক্তি কয়েক মাস পরে হতে পারে। কিন্তু শ্রীলঙ্কানদের এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি ঘাটতি এবং লোডশেডিং-এর সাথে লড়াই করতে হবে। দেশটিতে স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং মানুষজন বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করে।
ওষুধের ঘাটতির কারণে ডাক্তাররা ওষুধের অভাবে মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে সতর্ক করতে বাধ্য হয়েছেন। এ সতর্কতা বিশেষত গ্রামাঞ্চলের জন্য প্রযোজ্য। সেখানে শ্রীলঙ্কায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় চালসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।