News update
  • Arab-Islamic summit over Israeli strike on Doha Monday     |     
  • NASA Rover Uncovers Strongest Hint of Ancient Life on Mars     |     
  • Eminent Lalon singer Farida Parveen passes away     |     
  • Dr Yunus mourns Farida Parveen's death     |     
  • From DUCSU to JUCSU, Shibir Extends Its Winning Streak     |     

অনিশ্চয়তার দোলাচলে মিয়ানমারের নির্বাচন

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2023-01-25, 9:26am

4cb78635-e9b4-40be-be34-0cd9e2111ac0_w408_r1_s-66f9719f2c0fced7898d141d7076876d1674617183.jpg




মিয়ানমারে সামরিক জান্তার একজন মুখপাত্র ভিওএ-এর বার্মিজ সার্ভিসকে বলেছেন, এই বছর দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত সমস্যা এবং দেশ জুড়ে বিরোধীদের আক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করেন।

এক টেলিফোন সাক্ষাত্কারে বিষয়টি নিয়ে চাপ দেওয়া হলে, মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, “আমি এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে, এ বছর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তবে, বিভিন্ন রকম 'নাশকতামূলক কার্যকলাপ' চলছে।"

জান্তা, কমিটি রিপ্রেজেন্টিং দ্য পাইডাংসু হুলুটাও, বা সিআরপিএইচ নামে পরিচিত, একটি নির্বাসিত পার্লামেন্টকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। এক পর্যায়ে কয়েক মাস স্থায়ী জরুরি অবস্থাও জারি করে তারা।

জাও মিন তুন আরও বলেন, "এনইউজি, এর সংসদীয় সংস্থা সিআরপিএইচ এবং বিদেশী কয়েকটি গ্রুপ বলছে, তারা এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না।"

এনইউজি গঠিত হয়েছিল মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত কর্মকর্তা এবং কিছু জাতিগোষ্ঠীগত নেতাদের দ্বারা, যারা জান্তার বিরোধিতা করে এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনকে সমর্থন করে। জান্তা এনইউজিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

সিআরপিএইচ-এর একজন মুখপাত্র ভিওএ-কে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিল বা এসএসি নামে পরিচিত জান্তা, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার জন্য যে কোনো কারণ খুঁজছে।

সিআরপিএইচ-এর মুখপাত্র সি থু মং বলেছেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, তারা যা প্রদর্শন করার চেষ্টা করছে, তা হল তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার চেষ্টা করলেও, বাস্তবে এই সব বাধা বিপত্তির কারণে তা আর সম্ভব হবে না, এবং তাদের সামরিক আইনের অধীনেই শাসন চালিয়ে যেতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "এসএসি থেকে খবর পাওয়া গেছে, তারা নির্বাচনের জন্য করা আদমশুমারির কাজে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে।"

কে কে প্রার্থী হবেন, কিংবা কবে নির্বাচন হবে, তা আদৌ স্পষ্ট নয়।

অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায়, পূর্বে বার্মা নামে পরিচিত মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সেলর ডেরেক চোলে গত সপ্তাহে ভিওএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মিয়ানমারে প্রস্তাবিত নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার "কোনও সম্ভাবনা নেই"।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক নেতা, মিন অং হ্লাইং, গত ৪ জানুয়ারী ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, নির্বাচনের বিস্তারিত পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

রাজধানী নেপিতাওতে ওই অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় মিন অং হ্লাইং বলেন, "জরুরি অবস্থার বিধানগুলি সম্পন্ন করার পর, ২০০৮ সালের সংবিধানের সাথে সঙ্গতি রেখে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিজয়ী দলের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আরও কাজ করা হবে।"

সি থু মং অবশ্য বলেছেন, “আমরা বুঝি যে একটি নির্বাচন সাধারণত ছয় মাস আগে ঘোষণা করা হয়। যদি এসএসি আগস্টে নির্বাচন করতে চায়, যেমন অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, তাদের এখনই, অর্থাৎ জানুয়ারির মধ্যেই তা ঘোষণা করতে হবে। এবং তারা নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সময়ে তাদের শাসন বাড়ানোর জন্য কিছু বিকল্প বা উপায় খুঁজে বের করবে।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।