ইরান ঘোষণা করেছে, দেশটির সর্বোচ্চ নেতা সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে গ্রেপ্তার হওয়া ২২ হাজার জনের বেশি মানুষকে ক্ষমা করেছেন। এই বিক্ষোভ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। গণ ক্ষমার এই সংবাদকে তাৎক্ষণিক স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেহির বিবৃতিটি প্রথমবারের মতো সরকারের দমন-পীড়নের সম্পূর্ণ চিত্রের একটি আভাস দিয়েছে। সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভে এই দমনপীড়ন চালানো হয়। মাহসা আমিনিকে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ আটক করেছিল।
এই ঘটনার ফলে আরও বোঝা যাচ্ছে, ইরানের ধর্মতন্ত্র এখন অস্থিরতার মাত্রা স্বীকার করার জন্য যথেষ্ট নিরাপদ বোধ করছে। এই বিক্ষোভ ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানের শাসকদের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জগুলোর একটিকে প্রতিনিধিত্ব করে। বিপ্লবের পরের শুদ্ধি অভিযানে হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছিল।
ফেব্রুয়ারিতে ইরান স্বীকার করেছিল যে, বিক্ষোভে “হাজার হাজার” মানুষকে আটক করা হয়েছে। সোমবার এজেহি যে সংখ্যক ব্যক্তি আটক আছে বলে জানিয়েছে তা ইতোপূর্বে সক্রিয় কর্মীদের বলা সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। তবে ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বা সক্রিয় কর্মীদের দ্বারা নথিভুক্ত বন্দিদের কোনো গণমুক্তি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে করা হয়নি।
হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্টস ইন ইরানের মতে, বিক্ষোভ চলাকালীন ১৯ হাজার ৭শ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই দলটি হামলার শুরু থেকে বন্দিদের সংখ্যা অনুসরণ করছে। কর্তৃপক্ষ সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করায় কমপক্ষে ৫৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রুপটি। ইরান কয়েক মাস ধরে মৃতের সংখ্যা জানায়নি। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।