News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

জনগণ যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, তাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে: পিটিআই

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক গনতন্ত্র 2024-02-13, 8:05am

reryeuy-4d86106ac6875a1cdc0cbc762e600c201707789948.jpg




ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান বলেছেন, জনগণ পক্ষে রায় দেওয়ার পরও তাদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

"আমাদেরকে এই ব্যবস্থার ভুক্তভোগী বানানো হয়েছে। এমন একজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যাকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে", বলেন মি. খান।

সোমবার পাকিস্তানের স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন ব্যারিস্টার গহর খান।

পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

জোটগতভাবে সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।

তবে নির্বাচনে মি. শরীফকে কারচুপি করে জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে পিটিআই।

দলটির সমর্থক ইয়াসমিন রশিদ, যিনি লাহোরে মি. শরীফের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের জন্য এরইমধ্যে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন।

এদিকে, পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণার আগেই মি. শরীফ তার দলকে যেভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্যারিস্টার গহর খান।

"তিনি যখন বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, তখন তার দলের ৫০টিও আসন ছিল না", বলেন মি. খান।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, "তাহলে তারা কেন এমন একটি ঘোষণা দিয়ে বসলো? কারা তাদের সাহস যোগাচ্ছে? কারা তাদেরকে এই পথ দেখাচ্ছে?"

পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএলএন) নেতা নওয়াজ শরীফের প্রতি সেদেশের সেনাবাহিনীর সমর্থন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে মি. শরীফের দল ৭৫টি আসন পেয়েছেন।

অন্যদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন, তার সমর্থকরা ৯৩টি আসনে জয়লাভ করেছেন।

কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক সমীকরণে সরকার গঠন করতে পারছেন না তারা।

এ অবস্থায় বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সাথে সমঝোতা করে জোট সরকার গঠন করার পরিকল্পনা করছেন মি. শরীফ।

এরমধ্যেই ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছে পিটিআই-সহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল।

পিটিআই দাবি করেছে যে, কমপক্ষে ১৮টি আসনের ফলাফলের ক্ষেত্রে ভোট কারচুপি করা হয়েছে।

"কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। আমরা আমাদের সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করছি এবং অন্যদেরও সাংবিধানিক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে আসছি”, পাকিস্তানের স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন ব্যারিস্টার গহর খান।

দেশ, গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির স্বার্থে পিটিআই সামনে এগিয়ে যেতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনে জাতীয় পরিষদের অন্যসব দলের সঙ্গে পিটিআই সংলাপে বসতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন মি. খান।

পিটিআইয়ের বিক্ষোভ

'ভোট কারচুপি'র প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গহর খান।

নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে পিটিআই কর্মীরা রোববার রাওয়ালপিন্ডিতে বিক্ষোভও পালন করেছে।

বিক্ষোভকারীরা রাওয়ালপিন্ডিতে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন ভবনের দিকে যেতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

তারা যেন কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন ভবনের দিকে যেতে না পারে, সেজন্য ভবনের ঢোকার রাস্তায় কাঁটাতার এবং বড় ট্রাক দিয়ে অবরোধ করে রেখেছিল পুলিশ।

ফলে বিক্ষোভকারীদের কেউই শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ভবনে ঢুকতে পারেনি।

তবে কয়েকশ বিক্ষোভকারী আশপাশের রাস্তায় জড়ো হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে স্লোগান দিতে থাকে।

এ অবস্থায় কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন

পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে ভোট কারচুপির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটি অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের নির্বাচনি কর্মকর্তারা।

সরকার শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছতার সাথে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী মুর্তজা সোলাঙ্গী।

"নির্বাচন যে স্বচ্ছ হয়েছে, ফলাফলই সেটি প্রমাণ করে দিচ্ছে", বলেন মি. সোলাঙ্গী।

তারপরও যেসব প্রার্থীরা অভিযোগ করছেন, তাদের কথা শুনতে দু’টি আলাদা বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ভোট কারচুপির বিষয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬৭টি অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নির্বাচন কমিশন দপ্তরে ২৯টি আবেদনের শুনানি পরিচালনা করা হবে।

অন্যদিকে, বেলুচিস্তান এবং সিন্ধু প্রদেশের কর্মকর্তারা ৩৮টি আবেদনের শুনানি পরিচালনা করবেন বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, পিটিআই সমর্থিত অন্তত ছয় জনপ্রার্থী, যারা এবারের নির্বাচনে জিততে পারেনি, তারা নিজদের আসনের ফলাফল পরিবর্তনের জন্য আদালতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

এরইমধ্যে নির্ধারিত ফর্মে নির্বাচনি ভোট কারচুপির অভিযোগ দাখিল করেছেন তারা। বিবিসি বাংলা