News update
  • Promoting social inclusion of disabled persons thru empowerment     |     
  • Arab-Islamic Summit Warns Israel Attacks Threaten Ties     |     
  • South-South Cooperation: Building Innovation and Solidarity     |     
  • Consensus must; polls to be a grand festival: Prof Yunus     |     
  • Salahuddin sees security risks if polls miss February deadline     |     

বিশ্ববাসীর চোখ এখন যুক্তরাষ্ট্রে

বিবিসি বাংলা গনতন্ত্র 2024-11-05, 6:52am

img_20241105_064927-9f56523ef3d1b0ca69ba599c032d0b141730767935.jpg




আগামী চার বছর বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণে কে প্রভাব বিস্তার করবে সেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন আজ (৫ নভেম্বর)। শুধু রাজনীতি নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির ভাগ্য অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে এ নির্বাচনের ওপর। তাইতো বিশ্ববাসীর চোখ এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। 

তবে এবার স্মরণকালের সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটযুদ্ধ হতে যাচ্ছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে। দেশটির ইতিহাসে এবারই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনো নারী প্রার্থীর মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তিনি নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস হবে। প্রথম কোন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে দেশটি। অন্যদিকে, কমলার কোনো অংশে কম নন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে তিনিও এগিয়ে আছেন সমানে সমানে। এই দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি ভোটযুদ্ধের ফলাফলের অপেক্ষায় বিশ্ব।

পুরো বিশ্বের চেয়েও মার্কিন নির্বাচনের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এবং দখলদার ইসরায়েলের দুই দেশের নাগরিকরা।

নিজের জলপাই মাড়াইয়ের যন্ত্রটির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন পশ্চিম তীরের তারমাস আয়া অঞ্চলের ফিলিস্তিনি-মার্কিন উদ্যোক্তা জামাল জাগুলুল। তবে তার মন রয়েছে, হাজার মাইল দূরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। এই অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি-মার্কিনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

তিনি জানিয়েছেন, তারা এখানে অনেক সমস্যায় আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কেউই তাদের নিয়ে ভাবেন না। তারা এবার পরিবর্তন চান। তারা আরেকটি দলকে চায়। আরেকটি স্বাধীন ভিন্ন দল। কেউ তাদের সাহায্য করছে না।

যদিও গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে একতরফা সমর্থন দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। দিয়েছে আর্থিক সহায়তা ও অস্ত্র। তবে বেশিরভাগ ইসরায়েলি ঝুঁকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। কারণ, তারা আর রক্তপাত চায় না। এবার যুদ্ধের ইতি টানতে চান সাধারণ মানুষ। তার মনে করেন, যুদ্ধবিরতি আলোচনায় এবং বন্দিমুক্তিতে ট্রাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন।

এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প অথবা কমলা, যেই নির্বাচিত হন না কেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে কতটুকু কার্যকর হবে তা অনেকটা অনিশ্চিত। কেননা নির্বাচনী প্রচারণায় যুদ্ধবিরতির কথা বললেও দুজনেই ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন। তারা গাজায় বোমাবর্ষণ, খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করা, চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া, রোগের বিস্তার ঘটানো ও জোরপূর্বক স্থানান্তর প্রভৃতি ভয়ঙ্কর নীতির প্রশ্নে মন্তব্য করেননি। সুতরাং নির্বাচনের ফল যাই হোক না কেন গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ নিরসনের সম্ভাবনা শূন্য। ফলে চিন্তিত গাজাবাসী।

এদিকে গাজা ও ইসরায়েলের পর আরেকটি দেশ অনেকটা নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে অপেক্ষা করছেন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। ইউক্রেন-বাসী প্রার্থনা করছেন কমলা যেন প্রেসিডেন্ট হয়। কারণ, জয়ী হলে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন কমলা। ইউক্রেনের নাগরিক ইনানা জানান, তারা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল নিয়ে চিন্তায় আছেন। কারণ, তাদের শত্রুকে (রাশিয়া) পরাজিত করতে চান তারা। তার দেশের ভাগ্য ঝুলছে পাঁচ হাজার মাইলেরও বেশি দূরের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ভোটারদের হাতে। তিনি আশাবাদী কমলা জয়ী হবেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করবেন।

অন্যদিকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

গাজা-ইউক্রেন ছাড়াও রাশিয়ার নজরও এখন মার্কিন নির্বাচনের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করায় মস্কোর আগ্রহ অন্যদের চেয়ে বরং বেশিই থাকার কথা। ২০১৬ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে যখন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলেন তখন রাশিয়ার উগ্র-জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কির আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এবারের নির্বাচনে কোনো রুশ রাজনীতিবিদ বা কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভের সম্ভাবনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।

মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে চীনেও। দেশটির সাধারণ জনগণও অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে নজর রাখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। অবশ্য তাদের মধ্যেও কিছুটা শঙ্কাও কাজ করছে। জিয়াঙ নামের ষাটোর্ধ্ব একজন চীনা নাগরিক জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে কেউই যুদ্ধ দেখতে চায় না। চীন-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েন ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন তিনি।