ব্রিটেন ও নরওয়েকে তিরষ্কার করেছে ইরান। ইরানের দাবি, তাদের দেশে চলমান ব্যাপক অশান্তির বিষয়ে এই দুই দেশ হস্তক্ষেপ করেছে এবং শত্রুভাবাপন্ন সংবাদ প্রচার করেছে। সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারণে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে আটক এক তরুণীর মৃত্যুর জেরে এমন অশান্তি চলছে দেশটিতে। আধা-সরকারি আইআরএনএ সংবাদ সংস্থা রবিবার এসব কথা জানায়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক দূতদের কাছে প্রতিবাদ জানাতে ব্রিটেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতদের শনিবার তলব করে।
লন্ডন ভিত্তিক ফারসি ভাষার গণমাধ্যমটির “বৈরি আচরণ” উল্লেখ করে ইরান। একইসাথে তারা নরওয়ের কূটনীতিবিদের কাছে তাদের দেশের সংসদের স্পিকারের “হস্তক্ষেপমূলক অবস্থান” বিষয়ে অভিযোগ করে। ঐ স্পিকার টুইটারে বিক্ষোভকারীদের জন্য সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
এক সপ্তাহেরও বেশি আগে ইরান বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহসা আমিনি’র মৃত্যুতে প্রতিবাদকারীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তম বিক্ষোভ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জেক সালিভান এবিসি’র “দিস উইক” অনুষ্ঠানে রবিবার বলেন যে, ইরানের বিক্ষোভগুলো “এমন ব্যাপক বিশ্বাসকেই প্রতিফলিত করে যে [বিক্ষোভকারীদের] তাদের মর্যাদা ও অধিকার প্রাপ্য” এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন মানুষদের সমর্থন করে “যারা নিজেদের অধিকারের জন্য উঠে দাঁড়ায়।”
ইরানের কিছু কিছু নারী প্রকাশ্যে নিজেদের চুল কেটে ফেলেছেন বা রাস্তায় তাদের মাথার স্কার্ফ পুড়িয়ে ফেলেছেন। একইসাথে বিক্ষুব্ধ মানুষজন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির পতনেরও আহ্বান জানিয়েছেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।