News update
  • UN Report Calls for New Thinking to Secure a Sustainable Future     |     
  • BNP moves to finalise seat sharing as alliance friction grows     |     
  • BNP plans universal 'Family Card' for all women: Tarique Rahman     |     
  • Tangail saree weaving gets recognition as intangible cultural heritage     |     
  • Chuadanga farmers thrive as cauliflower yields hit new high     |     

মাথাপিছু ৮০ ডলার নিয়ে জলবায়ু ঋণে জড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

জলবায়ু 2025-10-13, 5:09pm

img-20251013-wa0013-01-61e43907359b10a8fb59f0ab43d0c99c1760353762.jpeg

Saint Bossa in Khan, MD, Change Initiative, speaking at an exchange of opinion with the Forum of Environmental Journalists of Bangladesh at the National Press Club on Monday.



ঢাকা, ১৩ অক্টোবরঃ বাংলাদেশে মাথাপিছু জলবায়ু ঋণ প্রায় ৮০ ডলার যা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর গড়ের তিনগুনেরও বেশি। বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী নয়, অথচ ভোগ করছে তার ফল। 

আজ বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম ও চেঞ্জ ইনিসিয়েটিভের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক মত বিনিময় সভায় আরো বলা হয় জলবায়ু অর্থায়নে বাংলাদেশ ১ ডলার অনুদানের বিপরীতে ২.৭ ডলার ঋণ নিচ্ছে। বহুপাক্ষিক অর্থায়নেও এ ঋণ এলডিসি গড়ের প্রায় পাচগুন।

এ ঋণ নির্ভর সহায়তা কার্যত দেশের জলবায়ু নীতি ও রাজস্ব নীতিকে বিপন্ন করছে।

চেঞ্জ ইনিটিয়েটিভ বিশ্বের ৫৫টা স্বল্পোন্নত দেশের জলবায়ু ঋণ দায় সূচক তৈরী করেছে। জলবায়ু বিষয়ক বৈশ্বিক বৈঠকে এ সূচকের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ ঋণ দায়গ্রস্ততার বিষধ বিবরণ দিতে পারবে। বাংলাদেশি এ প্রতিষ্ঠানের তৈরী সূচক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ুর দায়বদ্ধতার দরকষাকষিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 

মতবিনিময় সভায় চেঞ্জ ইনিসিয়েটিভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন খান বলেন বৈশ্বক উষ্মতা বৃদ্ধিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর দায় মাত্র ৩.৩ ভাগ কিন্তু তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া শতকরা ৭০ ভাগই পড়ে এদেশগুলোর উপর। জলবায়ু ফান্ডের যে অর্থ পাওয়া যায় তার ৯৫ ভাগই লোন, মাত্র ৫ ভাগ অনুদান। অর্থাৎ স্বল্পোন্নত দেশগুলো ঋণে জর্জরিত হয়ে উন্নত দেশ সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্মতার দায় পরিশোধ করছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনময় সভায় জলবায়ু ঋণ দায় সূচকের উপস্থাপন করেন তন্ময় সাহা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি, পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কন্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ।

তিনি বলেন জলবায়ু খাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০০ বিলয়ন ডলার যা আবার বিতরণের জন্য পাওয়া যাচ্ছেনা। 

বাংলাদেশে জলবায়ু ট্রাষ্ট ফান্ডের নিম্নগতি চলছে। প্রথমে যেখানে বছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ রাখা হত তা এখন ১০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। ফান্ডের টাকা অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণে এটা হয়েছে। ফার্মার্স ব্যাংকে (পদ্মা ব্যাংক) ফান্ডের কয়েকশ কোটি টাকা নিষেধ স্বত্বেও রাখার পর তা লোপাট হয়েছে। 

জাকির হোসেন খান বলেন বাংলাদেশের মানুষকে বছরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলার গচ্ছা দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে বায়ু দূষনের জন্য গড় আয়ু ৭ বছর কমে যাচ্ছে। 

এমন অবস্থায় বাংলাদেশকে জলবায়ু বিষয়ক বিতর্কে প্রাকৃতিক সুরক্ষার কথা নিয়ে আসতে হবে। বেচে থাকার জন্য অক্সিজেন, এবং ন্যুনতম পানির প্রয়োজনের কথা বলতে হবে। এগুলো কিছুতেই দরকষাকষির বিষয় নয়। 

তিনি বলেন আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের কারণে ঋণ মওকুফ পেতে হবে। এবিষয়ে এখন থেকে কাজ শুরু করা দরকার। বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য বহুমাত্রিক ব্যাংকের আর্থ-সলিডারিটি ফান্ড তৈরী  করতে হবে। দূষনের জন্য কার্বন ট্যাক্স ধার্জ করতে হবে। জলবায়ুর জন্য আরো ফান্ডের উৎস খুজে বের করতে হবে।