News update
  • 248 arrested, illegal nets seized in 6-day drive: River Police     |     
  • Children in Gaza ‘going to bed starving’ amid blockade     |     
  • Plague of rats, insects latest challenge for war-torn Gazans     |     
  • Guterres tells UNSC two-State option near point of no return     |     
  • 14-year-old Suryavanshi smashes record-breaking T20 century     |     

তীব্র গ্যাসসংকটে বেড়েই চলেছে লোডশেডিং, জনজীবন বিপর্যস্ত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2024-09-13, 1:03pm

ertertwtwrw-8a94897f7f10a5fdd6929a99737ace681726211023.jpg




রক্ষণাবেক্ষণ শেষে সাড়ে তিন মাসেও সামিটের এলএনজি টার্মিনাল সচল না হওয়ায় তীব্র সংকটে দেশের জ্বালানি খাত। গ্যাসের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের অর্ধেক সার কারখানা এবং ৩১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিল্প কারখানায়ও। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশে বেড়ে চলা লোডশেডিংয়ের কারণ তীব্র গ্যাসসংকট। নিজস্ব উৎসে জোর না দিয়ে আমদানি-নির্ভরতাই ভয়াবহ ঝুঁকিতে ফেলেছে গোটা জ্বালানি খাতকে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাম্পগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, গ্যাসের জন্য ঠাঁই দাঁড়িয়ে সারি সারি গাড়ি। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা; তবুও অপেক্ষা ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আর এটিই যেন এখন দেশে জ্বালানি পরিস্থিতির প্রতীকী রূপ।

গ্রাহকরা বলছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না গ্যাস। আর এতে বাড়ছে সংশ্লিষ্টদের ভোগান্তি। 

কেবল যানবাহনেই নয়, অন্যান্য খাতেও গ্যাসের সংকট তীব্র। চাহিদার তুলনায় অর্ধেক জোগান দেয়া যাচ্ছে না সার কারখানায়। ফলে দেশে বর্তমানে ছটি সার কারখানার তিনটিরই উৎপাদন বন্ধ।

গ্রাফিক্স চিত্রে গ্যাসসংকটে সার কারখানার বর্তমান পরিস্থিতি।

একই অবস্থা বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও। বর্তমানে দেশে বেড়ে চলা লোডশেডিংয়ের অন্যতম কারণ গ্যাসের তীব্র সংকট। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে চাহিদার বিপরীতে গ্যাস দেয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৮ শতাংশের মতো। এ কারণে কেবল গ্যাসের অভাবেই বন্ধ ৩১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

গ্রাফিক্স চিত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস সংকেটের প্রভাব

একই চিত্র শিল্প কারখানাতেও। গ্যাসের অভাবে ধুঁকছে রফতানিমুখী খাত। অস্বাভাবিক হারে কমছে এ খাতের উৎপাদন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক প্রকৌশলী রাজীব হায়দার বলেন, গ্যাসসংকটে ৩০-৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে।

বর্তমানে দেশে গ্যাসের চাহিদা ধরা হয় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু সরবরাহ ঘুরপাক খাচ্ছে ২৫শ থেকে ২৬শ মিলিয়ন ঘনফুটের ঘরে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সাড়ে তিন মাস ধরে বন্ধ সামিটের ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) মিলছে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩শ মিলিয়ন কম। এতে পরিস্থিতি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

গ্রাফিক্স চিত্রে দেশের গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের পরিমাণ

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানাচ্ছে, আবারও উৎপাদনে ফিরছে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার আশায় সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশীয় উৎসে গুরুত্ব না দিয়ে আমদানি-নির্ভর নীতির কারণে দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে জ্বালানিখাতকে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, গ্যাস আহরণে জাতীয়ভাবে নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর আরও জোর দিতে হবে। এতে ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে।

গ্যাসঅনুসন্ধান কার্যক্রম গতিশীল করার কোনও বিকল্প নেই। নাহলে আগামীতে এ সংকট আরও তীব্র হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সময় সংবাদ