News update
  • UN Warns Nearly 900 m Poor Face Climate Peril     |     
  • Global Finance Leaders Eye Gaza’s $70b Reconstruction Plan     |     
  • Over 1 million tickets sold for 2026 World Cup in North America: FIFA     |     
  • Daily struggles persist in Gaza even as ceasefire offers some respite     |     

সারা দেশে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি

ট্যাক্স 2022-08-13, 9:22pm

Tax icon



ঢাকা, ১৩ আগস্ট: ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সুবিধার কারণে নাগরিক হয়রানি অনেক হ্রাস পেয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের মাঝে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪০ দিনেই সারা দেশে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বেশি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। অর্থ বছরের প্রথম থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির নিয়ামক।

দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় ঢাকা জেলায় অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা জেলায় যেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে পরিশোধকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ২ লাখ টাকা, সেখানে ২০২১-২২ নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৭ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও, ঢাকা মহানগরীর ভূমি অফিসগুলো ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে। এসব অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর ছাড়াও অন্যান্য কোনও ধরণের ফি ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যতীত ক্যাশ টাকায় নেওয়া হয় না। আশা করা যাচ্ছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকা সহ দেশের শতভাগ ভূমি মালিক অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবে। আরো আশা করা যাচ্ছে, পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভূমি অফিস ক্যাশলেস হবে।  

ইতোমধ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ হোল্ডিং এন্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল ভূমি কর ব্যবস্থায় এখন পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি সুবিধাভোগী অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

সাড়ে ৩ কোটি জমির তথ্য ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১০ হাজারের বেশি গণকর্মচারীকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের পর তাৎক্ষণিক দাখিলা পাওয়া যাচ্ছে।

সাধারণ ও সংস্থা পর্যায় মিলে প্রতি অর্থ বছরে সাধারণত ৮শ কোটি টাকারও বেশি ভূমি উন্নয়ন কর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। এসব অর্থ শতভাগ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার মাধ্যমে আদায় করতে পারলে কর আদায় অধিকতর দক্ষ হবে এবং কর আদায়ের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ভূমি উন্নয়ন কর ছাড়াও ইজারাকৃত সায়রাত মহাল (বালু মহাল জলমহাল ইত্যাদি), ‘ক’ তফসিলভুক্ত এবং অন্যান্য লিজকৃত বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তির লিজমানি বাবদ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয় জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম তথা ‘ডিজিটাল ভূমি কর ব্যবস্থা’ উদ্বোধন করেন। এরপর ৫ জানুয়ারি ২০২২ ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ১৬১২২ নম্বরে কল করেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর আগে, ২০২০ সালে অনলাইনে ভূমি কর ব্যবস্থার পাইলটিং শুরু হয়। চলতি বছর ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনলাইনে ডিজিটাল ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা জাতিসংঘের আইটিইউ কর্তৃক প্রদত্ত মর্যাদাপূর্ণ উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে।

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার জন্য ১৬১২২ নম্বরে কল করে কিংবা land.gov.bd থেকে এনআইডি সহ জমির তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের তথ্য পাওয়ার পর ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনুমোদন দিলে হোল্ডিং এন্ট্রি শেষ হবে। হোল্ডিং নাম্বারের তথ্য আবেদনকারীকে এসএমএস-এর মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে। অতঃপর নাগরিককে পুনরায় ১৬১২২ নম্বরে কল করে হোল্ডিং এর তথ্য প্রদান করতে অথবা নিজেই land.gov.bd থেকে কর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেন।

এরপর কলসেন্টার এর মাধ্যমে কর দিতে চাইলে সেখান থেকে থেকে নাগরিকের মোবাইলে টোকেন নাম্বারের এসএমএস আসবে। মোবাইল ব্যাংকিং-এর পে-বিলের মাধ্যমে টোকেন নাম্বার দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভূমি মালিক তাঁর জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও খতিয়ানের তথ্য প্রদান করে যে কোনও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নিবন্ধন ও ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করার সুবিধা চালু করা হয়েছে।  এমনকি এনআইডি নম্বর ব্যবহার করেও যে কেউ অন্যের পক্ষে একাউন্টে লগইন না করেই ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পারবেন, তবে দাখিলা পেতে লগইন করতে হবে। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের সাথে-সাথে কিউআর কোড সমৃদ্ধ ডিজিটাল দাখিলা নিজ একাউন্ট থেকে ভূমি মালিক ডাউনলোড করতে পারবেন। - তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৪৬