News update
  • Airports across Europe face disruptions due to cyberattack     |     
  • New Approach Must for Dhaka to Break Climate Aid Debt Trap     |     
  • UN High Seas Treaty Clears Ratification, Set for 2026     |     
  • UAE Suspends Visas for Bangladesh, Eight Other Nations      |     
  • Young disabled people of BD vow to advocate for peace     |     

রেলসেতুতে লোহার পরিবর্তে বাঁশ-কাঠ, কী বলছে কর্তৃপক্ষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক দুর্নীতি 2024-05-07, 12:34pm

438154285_378920681795089_8401837620263432150_n-dac12daa544ef38bc371fdc8f1235c311715063695.jpg




লালমনিরহাটে রেললাইনের বেশিরভাগ জায়গায় নেই নাটবল্টু। নষ্ট হয়ে গেছে অনেকাংশের স্লিপার। রেলসেতুতে লোহার পাতের পরিবর্তে লাগানো হয়েছে বাঁশ ও কাঠ; যার ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে ট্রেন। এতে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকলেও কর্তৃপক্ষ বলছে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে তিস্তা পর্যন্ত রেললাইনের ওপর দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকালসহ প্রায় ২২ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। অথচ এ রেলপথে অধিকাংশ স্থানেই নেই স্পাইক। তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ ও কাঠ। এমন কি ফিসপ্লেট আটকানোর জন্যও নাটবল্টুর বদলে গাছের ডাল ও লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অংশে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার। এমনকি ব্রিজ ও কালর্ভাটগুলোতে লোহারপাতের পরিবর্তে লাগানো হয়েছে কাঠের পাটাতন। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

এলাকাবাসী জানান, ব্রিজ ও কালভার্টে লোহার নাটবল্টুর নেই। এর পরিবর্তে গাছের ডাল ও কাঠ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। আবার রেল ব্রিজে দেয়া হয়েছে বাঁশের ফালাটি। প্রশ্ন করলে কর্তৃপক্ষের লোকজন বলেন, রেললাইনের লোহার নাটবল্টুর বা চাবি এখন আর পাওয়া যায় না। তাই কাজ চালানোর জন্য সেখানে বাঁশের খিল বা কাঠ ব্যাবহার করা হচ্ছে।

তবে, নিজেদের অবহেলার কথা এড়িয়ে কর্তৃপক্ষ দুষছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের। একইসঙ্গে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আশ্বাস দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান হাবিব।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় ওই ব্রিজগুলোর দেখভাল করি। তবে আগে যারা ছিলেন সমস্যা হলে তারা হাতের কাছে যা পাওয়া যেত বিশেষ করে স্লিপারটা ব্যাবহার করা হতো। পুরনো স্লিপারটা চিরাই করে আমরা ব্রিজে ব্যবহার করতাম। তবে এটা আমাদের মূল স্ট্রাকচারের কোনো অংশ না। যে কারণে এটা ব্রিজের সঙ্গে বা ট্রেন চলাচলে কোনোভাবে জড়িত না থাকায় এটি নিয়ে আসলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানান রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী। 

লালমনিরহাটের বুড়িমারী থেকে তিস্তা রেল সেতু পর্যন্ত রেললাইন রয়েছে ৯৬ দশমিক এক কিলোমিটার।

এ দিকে বাদ যায়নি এ তিস্তা রেল সেতুটিতেও বাঁশের ব্যবহার। ২ হাজার ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুটির বিভিন্ন স্থানে লোহার পাতের পরিবর্তে লাগানো হয় বাঁশ। তথ্য সূত্র সময় সংবাদ।