পর্যাপ্ত বিকল্প তৈরি না করেই সুপারশপে পলিথিনের ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্রেতা ও ভোক্তাদের। তারপরও সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জুতসই বিকল্পের খোঁজে হন্যে হয়ে পড়েছেন ব্যবহারকারীরা। তবে বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ উৎপাদকরা বলছেন, সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো বিকল্প রয়েছে তাদের কাছে। পরিবেশ সুরক্ষার পক্ষে তথ্যপ্রমাণ দিচ্ছেন গবেষকরাও।
কিছু কারখানায় সরেজমিনে দেখা যায়, তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব বায়োডিগ্রেডেবল শপিং ব্যাগ। উদ্যোক্তারা বলছেন, নতুন করে চাহিদা বাড়ছে এ ব্যাগের। অনেক সুপারশপের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে।
পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কঠোরতার পর থেকেই সুপারশপে দেখা যাচ্ছে পাট, কাপড় কিংবা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। তবে রয়েছে সরবরাহ সংকট ও বাড়তি দামের অভিযোগ।
ভালো বিকল্পের খোঁজে যখন ভোক্তা ও বিক্রেতারা, তখন গবেষকরা বলছেন, দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাগ কম্পোস্টেবল বা বায়োডিগ্রেডেবল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এগুলো ১৮০ দিন বা তার কম সময়ে মিশে যায় মাটিতে।
বিসিএসআইআরের ফাইবার ও পলিমার বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. স্বপন কুমার রায় সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমরা ৬ মাস পর্যবেক্ষণ করেছি। স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমরা যে পরীক্ষা করেছি বা এখনও কিছু বিষয়ে পরীক্ষা চলমান আছে, তাতে আমরা দুয়েকটা ব্যাগ পেয়েছি যে, সেগুলো বায়োডিগ্রেডেবল। এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়।
প্রশ্ন হলো, কতটা ব্যয় সাশ্রয়ী পলিথিনের বিকল্প এসব ব্যাগ? উৎপাদকদের দাবি, পলিথিন বা পলিপ্রপাইলিনের ব্যাগের দাম আকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা। পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের দাম পড়ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা। আর একই সাইজের কম্পোস্টেবল বা বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিনের ব্যাগের দাম পড়বে ৩ থেকে ৬ টাকা।
বিকল্প থাকলেও নীতিমালার অভাবে ভোক্তারা যেন বেশি ব্যয়ের চাপে না পড়েন সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফের।
তিনি বলেন, পাটের ব্যাগ বা অন্যান্য ব্যাগ ব্যবহার করতে গিয়ে ভোক্তাদের খরচের ওপর যেন নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
গণপরিসরে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে বাস্তবতা বিবেচনায় উদ্যোগ না নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের নেয়া এবারের প্রয়াস বাস্তবায়নও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে শঙ্কা সাধারণ মানুষের। তথ্য সূত্র সময় সংবাদ।