Doa Mahfil and discussion meetingf organised by BML on the occasion of Eid-e-Milasdunnabi on Saturday.
আজ (০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) বেলা তিনটায় বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত, দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূরের সভাপতিত্বে বাংলামটরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ বলেন, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) শুধু একজন ধর্ম প্রচারকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ৬২২ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মদিনা কেন্দ্রিক মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্র প্রধান, মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রথম প্রধান সেনাপতি এবং প্রধান বিচারপতি। যে কোন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপ্রধানরা নবীজির জীবনীর ভেতরই রাজনৈতিক সংকটের সমাধানও খুঁজে পাবেন। ‘বিশ্ব জগতের প্রতি রহমত স্বরূপ প্রেরিত’ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে শুধু একজন নবী ও ধর্ম প্রচারকের গণ্ডিতে আবদ্ধ না রেখে তার সার্বজনীন শিক্ষা এবং রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনাচারকে অনুসরণ করলে তা হবে বিশ্ব মানবতার জন্য কল্যাণের, সমৃদ্ধির, স্বস্তির এবং নিরবচ্ছিন্ন শান্তির
প্রধান আলোচক দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, মহানবীর নির্দেশনায় প্রণীত হয় বিশ্বের প্রথম লিখিত রাষ্ট্রীয় সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ যা তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার এক উজ্জ্বল দলিল। মক্কার পৌত্তলিক কুরাইশদের সঙ্গে হুদাইবিয়া সন্ধি ছিল তার অসামান্য কূটনৈতিক প্রজ্ঞার নিদর্শন। বিনা যুদ্ধে ও বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় ছিল তার সামরিক কূটনীতির অনন্য কৃতিত্ব যা বিশ্বের সমর ইতিহাসে বিস্ময়কর এক ঘটনা রূপে স্বীকৃত। নবীজির রাজনৈতিক কর্ম জীবনের এসব ঘটনা পর্যালোচনা করলে বর্তমান গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জটিলতর পরিস্থিতিতেও রাজনৈতিক সংকট সমাধানের উপায় বেরিয়ে আসবে।
আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন, দলীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জি. গিয়াসউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, শেখ এ সবুর, সহ-সভাপতি বি.এম নিজাম, অতিঃ মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী ও মাকসুদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশীদ, দফতর সম্পাদক মোজাক্কের বারী, কেন্দ্রীয় নেতা তাজুল ইসলাম, এম.এ জিন্নাহ মানিক, শফিকুল ইসলাম জাবেদ, মাওলানা আব্দুল মতিন, মাহমুদ হাসান, নিরুপমা ইয়াসমীন, মো: নুরুল হুদা প্রমুখ। আলোচনা শেষে নবীজির প্রতি দরূদ পাঠসহ মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।