News update
  • Dhaka Urges Clear Outcome from Upcoming Rohingya Talks     |     
  • Khulna falls short of jute output target for lack of incentives     |     
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     

নির্বাচনী ইশতেহারে সুন্দরবন উপকূলের উন্নয়নে সুনির্দ্দিষ্ট অঙ্গীকার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক নির্বাচন 2023-11-14, 11:15pm

whatsapp-image-2023-11-14-at-16-f17ba52d4a0d5233e71e85c8b6e37e201699982106.jpg




রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারে সুন্দরবন উপকূলের উন্নয়নে সুনির্দ্দিষ্ট অঙ্গীকার তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক আন্দোলনের প্রতিনিধিবৃন্দ। দেশের বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানানোর পাশাপাশি উপকূলের জীবন-জীবিকা সুরক্ষায় প্রণীত ৫ দফা সুপারিশ নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তফা আলমগীর রতন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ।

নাগরিক সমাজের পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন ওয়াটারকিপার্স-বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউণ্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক রতন বালো, পরিবেশ কর্মী শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

বৈঠকে উত্থাপিত সুপারিশে বলা হয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য দ্রুত উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। উপকূলে নিরাপদ খাবার পানির স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলীয় এলাকায় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আদলে ‘একটি বাড়ি একটি শেল্টার হোম’, কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও উপকূলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে ওই জনপদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে প্রতি অর্থ-বছরে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে।

নাগরিক প্রতিনিধিদের সুপারিশ ও প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বামপন্থি নেতৃবৃন্দ প্রস্তাবনাগুলো যথাযথভাবে নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষা, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সুপেয় পানি ব্যবস্থাসহ অন্যান্য দাবি আদায়ে দীর্ঘ আন্দোলন চলছে। অতীতে নির্বাচনী ইশতেহারে এ সংক্রান্ত ঘোষণা রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে। প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের সহযোগিতা কামনা করেন তারা।