Picture of Kalapara Upazila chairman candicate has gone viral.
পটুয়াখালী: ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোঃ বাসেদ সরদারের মদ, মাংস খাওয়ার দৃশ্যের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারে এখন ভাইরাল। মঙ্গলবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাসেদ সরদারের মদ পানের দৃশ্যের এ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি এখন রাঙাবলী উপজেলায় টক অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছে। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না বাসেদ সরদারের কোন কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়া, ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ বাসেদ সরদারের সামনে টি টেবিলে রাখা মদের বোতল এবং প্লেটে মাংস। তিনি সাদা রঙের স্যান্ডো গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় বেসামাল হয়ে টি টেবিলের ওপর বসে বাম হাতে মদের গ্লাস এবং ডান হাতে মাংস নিয়ে মাংসের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।
এদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একদিন আগে বাসেদ সরদারের নৈতিক স্খলনের এমন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় এটি ষড়যন্ত্র কিনা?, সুপার এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে কিনা?, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাদল মল্লিক বলেন, 'বাসেদ সরদার একজন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী। নির্বাচনের আগেই যার মদ খাওয়ার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়, তার মত মানুষ কিভাবে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের নেতৃত্ব দেবে?'।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ বাসেদ সরদারের বক্তব্য জানতে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাঙ্গাবালী ইসি কার্যালয় সূত্র জানায়, রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোঃ সাইদুজ্জামান মামুন (ঘোড়া), মোঃ বাসেদ সর্দার (মোটরসাইকেল) এবং ড. আরিফ বিন ইসলাম (আনারস) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ রওশন মৃধা (চশমা), মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ (তালা), মোঃ রবিউল ইসলাম (উড়োজাহাজ) এবং মোঃ সাদ্দাম হোসেন শোভন (টিউবওয়েল) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসাম্মৎ ফেরদৌসী পারভিন (হাঁস), মোসাম্মৎ নার্গিস পারভিন (ফুটবল) এবং মোসাম্মাৎ মাতোয়ারা লিপি (কলস) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
রাঙ্গাবালী থানার ওসি মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯০ হাজার। মোট ভোট কেন্দ্র ৩৭টি। এরমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ২৬টি এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১টি। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোষ্টগার্ড ও আনসার সদস্য। এছাড়া নির্বাচন কমিশন থেকে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে থাকছে প্রায় এক ডজন কর্মকর্তা - গোফরান পলাশ