News update
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     
  • CPJ denounces Trump administration's action against AP     |     

কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, ৯৫ শতাংশ হোটেল বুকড

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2024-10-12, 9:06am

tryrtyrtyey-461eb037a835e7ac5e1c0c45290cc7e31728702367.jpg




সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব ঘিরে টানা ৪ দিনের ছুটিতে লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এরইমধ্যে ৯০ থেকে ৯৮ শতাংশ হোটেল বুকড হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) থেকে প্রকৃতি উপভোগের উদ্দেশে আসা পর্যটকের ভরপুর এখন কক্সবাজার। কক্সবাজার আবাসিক হোটেল মোটেল প্রতিষ্ঠানের দেয়া তথ্য বলছে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক লাখ ২০ হাজারের অধিক পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টসহ নানা পর্যটক স্পট ঘিরে এসব পর্যটকদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা মিলে। প্রকৃতির রূপে এখন শরতের বিমোহিত আকাশের মিষ্টি রোদে সাদা মেঘের খেলা। আর এই প্রকৃতির সৈকতের বালিয়াড়িতে মুক্তি ঘুরা-ফেরা, সৈকতে সাজানো বিচ ছাতায় বসে শীতল হাওয়া উপভোগ করতে যেমন পর্যটকদের দেখা মিলেছে তেমনি সাগরের লোনা জলে শরীর ভাসিয়ে স্নানমগ্নও ছিলেন পর্যটকরা। আর অনেকেই সৈকতের ঘোড়ার পিঠে উঠে ছবি ধারণ, বিচ বাইকে ঘুরাফেরা করতেও দেখা যায়। একইসঙ্গে দরিয়ানগর, হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেক সৈকত জুড়েও ছিল দিনভর পর্যটকের আনাগোনা।

হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক সমাগম সমান থাকবে কক্সবাজারে। এরমধ্যে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ হোটেল রুম বুকিং হয়েছে। আর ১৪ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তবে পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু আবাসিক প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা।

কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ছুটিতে পর্যটকরা কক্সবাজার আসতে শুরু করেছে। ৫ শতাধিক আবাসিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় কক্ষেই বুকিং রয়েছে শুক্রবার। হিসেবে মতো এক লাখ ২০ হাজারের বেশি পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করছে। এসব পর্যটকরা রবিবার পর্যন্ত থাকবে। এরপর চাপ একটু কমলেও বুকিং কিছুটা রয়েছে।

হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেডের বিপণন বিভাগের কক্সবাজার অফিস প্রধান ইমতিয়াজ নূর সুমেল বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের ছুটি। হঠাৎ ছুটি পেয়ে, কক্সবাজার আসতে আগাম বুকিং দিয়েছেন কিছু ভ্রমণপ্রেমী পরিবার। চারদিনের ছুটিতে আমরা এখন পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ বুকিং পেয়েছি। এরপর ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বুকিং রয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ রুম।

সেন্ডি বিচ হোটেল ও রেস্তোরাঁর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও বৃহত্তর বিচ ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি আবদুর রহমান বলেন, অনেকদিন পর টানা ছুটিতে পর্যটককে মুখরিত কক্সবাজার চেনা রূপে ফিরেছে। পর্যটক আসায় ব্যবসায়ীরা খুশি।

হোটেল দি কক্স টু-ডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবু তালেব শাহ বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে সব কক্ষ বুকিং রয়েছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঢাকা থেকে আসা স্কুল শিক্ষক রকিবুল ইসলাম জানান, তারা সহকর্মীরা মিলে মোট ৩০ জন শুক্রবার সকালে কক্সবাজার এসেছেন। এসেই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা দেখে খুশি বেড়েছে। সৈকতের পরিবেশ ও প্রকৃতি উপভোগ করছেন নিজেদের মতো। তবে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে হোটেল ভাড়া একটু বেশি নেয়া হচ্ছে। পর্যটক বেশি হওয়ায় এমন পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাহাড়ের ঝর্ণা হিমছড়ি, সৈকতের আকাশ জুড়ে শরতের বিমুগ্ধ কথন দেখেছেন ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফাজুল কানম। তিনি বলেন, কক্সবাজার সত্যিই প্রকৃতির রহস্য ঘেরা। এক ঋতুতে এক এক পরিবেশ।

চিকিৎসক দম্পতি আরিফুল আনোয়ার জানান, সন্তান সহ কক্সবাজার এসে সত্যিই আনন্দিত। প্রকৃতি উপভোগ করছেন নিজেরা।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মাহফুজুল ইসলাম বলেন, পর্যটক আগমন বেশি হওয়ায় আগে থেকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। সৈকতে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল ও সাদা পোশাকের পুলিশ রয়েছে। টেকনাফ ও ইনানীসহ সব পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে অবস্থান ও কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে পুরো সৈকত নজরদারির আওতায় রয়েছে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, পর্যটক এবং পূজা ঘিরে সৈকতের প্রবেশপথে তল্লাশি চৌকি স্থাপন, পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ভ্রমণপিপাসুদের বিচরণ নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছেন। কোথাও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেয়া আছে।  সময় সংবাদ