জাতিসংঘ আফগানিস্তানের তালিবানের প্রতি মেয়েদের স্কুল আবার চালু করার জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে। আফগানিস্তানে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে নারীদের বাদ দেয়ার এক বছর পূর্তিতে এটিকে “দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং সম্পূর্ণরূপে পরিহারযোগ্য” বলে নিন্দা জানিয়েছে।
গত বছরের আগস্টে সংঘাত-বিধ্বস্ত দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীটি সপ্তম থেকে নবম শ্রেণিতে পড়া মেয়েদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে । এই সিদ্ধান্ত মূলত ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মেয়েদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর তালিবান ছেলেদের জন্য উচ্চ বিদ্যালয় আবার খুলে দিয়েছিল কিন্তু মেয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নেয়ার আন্তর্জাতিক আহ্বান তারা উপেক্ষা করেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আফগানিস্তানের কিছু শহরে মেয়েরা তাদের শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
কট্টরপন্থী তালিবান শাসকরা নারীদেরকে জনসমক্ষে তাদের মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে এবং সরকারি অনেক বিভাগের নারী কর্মকর্তাদেরকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছে। তারা বলেছে, এই নিয়মগুলো আফগান সংস্কৃতি এবং ইসলামিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
জাতিসংঘ মিশনের অনুমান, বালিকা বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করার ফলে আফগানিস্তান জুড়ে ১০ লাখেরও বেশি মেয়েকে গত বছর শিক্ষা গ্রহণে বাধা দেয়া হয়েছে।
কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষায় নারী ও বালিকাদের প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য নাগরিক স্বাধীনতাকে দমন করার কারণে অন্যান্য দেশ এখনো তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তালিবানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন আফগানিস্তানে ইতোমধ্যে খারাপ অবস্থায় থাকা মানবিক সংকটকে আরও গভীর করেছে এবং এর যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।