Kalapara Upazila
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ’র বিরুদ্ধে ঈদ-উল-ফিতরের প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠানের নামে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৫-১০ হাজার টাকা করে চাঁদার এ টাকা আদায় করা হয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিন দুপুরে আদায়কৃত চাঁদার টাকায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ভুরিভোজ করা হয়েছে। তবে ওসি আলী আহম্মেদ’র সাথে জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের হট কানেকশন থাকায় এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ।
সূত্র জানায়, ঈদ-উল-ফিতরের প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠানের জন্য কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ ঈদের বেশ ক’দিন পূর্ব থেকেই জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সহ বিত্তবান শ্রেনীর মানুষের কাছ থেকে ৫-১০ টাকা করে চাঁদা আদায় শুরু করে। পুলিশের এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ চাঁদার টাকা আদায় করা হয়। আদায়কৃত টাকায় ঈদের তৃতীয় দিন দুপুরে থানা মেসে রসনা বিলাসে তৃপ্ত করা হয় আমন্ত্রিত অতিথিদের। চাঁদার টাকায় বাহারী স্বাদের হরেক রকমের খাবারের পসরা সাজানো হয় ডাইনিং টেবিলে।
সূত্রটি আরও জানায়, শনিবার দুপুরে কলাপাড়া থানা কম্পাউন্ডে ওসির আমন্ত্রনে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিতে দেখা যায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো: নুর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো: সাইদুল ইসলাম, ইউএনও মো: রবিউল ইসলাম সহ জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সহ প্রভাবশালী বেশ ক’জন রাজনীতিক কে।
একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ’পত্রিকায় আমাদের নাম লিখবেন না, উনি খুব ক্ষমতাবান ওসি। ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ভাবে ৫-১০ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে।’
সূত্রটি আরও জানায়, ’এর আগেও উনি কলাপাড়া থানায় দীর্ঘদিন ওসি (তদন্ত) হিসেবে থাকার পর ফের পূর্নাঙ্গ ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন। ওনার সাথে উর্ধ্বতনদের হট কানেকশন আছে। তাই ওনার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।’
এদিকে ঈদ-উল-ফিতরের প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও অভিযোগ অস্বীকার করে কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ’ঈদ উপলক্ষে ঈদের তৃতীয় দিন দুপুরে পুলিশ সদস্যদের একটু আপ্যায়ন করা হয়েছে। এসপি মহোদয় এতে উপস্থিত ছিলেন। বাইরের কাউকে নিমন্ত্রন করা হয়নি।’ - গোফরান পলাশ