News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

কুয়েতে নিহতদের বেশিরভাগই ভারতীয়, বাংলাদেশিদের বিষয়ে যা জানা গেল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-06-12, 7:57pm

fdgdsgs-855a31db4acee0ee528060df31bc671b1718201383.jpg




কুয়েতের দক্ষিণ আহমেদি গভর্নরেটের মানগাফ শহরে শ্রমিকদের থাকার একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অর্ধ-শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের নাগরিক বলে জানা গেছে। এদিকে নিহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী নেই বলে নিশ্চিত করেছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।

বুধবার (১২ জুন) স্থানীয় সময় ভোরের দিকে মানগাফ এলাকার ছয় তলা ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেটি শ্রমিকদের জন্য ব্যবহার করা হতো। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে অনেক শ্রমিক ঘুমিয়ে ছিলেন। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনই ভারতীয় নাগরিক। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওনমানোরামার তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ ভারতীয় নাগরিক আছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনই কেরালার বাসিন্দা। ওই ভবনে ১৯৫ শ্রমিক ছিলেন; যাদের বেশিরভাগই কেরালা ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা।

কুয়েতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘আজকের অগ্নিকাণ্ডে আহত ৩০ জনেরও বেশি ভারতীয় শ্রমিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইদ আল ওয়াইহান প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডে ৩৫ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে আহতদের মধ্যে আরও ছয়জন একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।’

এদিকে, কুয়েতের মানগাফের আগুন লাগা ওই ভবনটিতে নিহত ৪৩ জনের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি প্রবাসী নেই বলে নিশ্চিত করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল হোসেন। তিনি ওই ভবনটি পরিদর্শন করেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবদুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই যে ওই আবাসিক ভবনে কোনো বাংলাদেশি কর্মী থাকতেন। ওই ভবনে থাকা বেশির ভাগ কর্মীই নির্মাণ খাতে কাজ করেন। আর বাংলাদেশি কর্মীরা মূলত পরিচ্ছন্নতা খাতে কাজ করে থাকেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুয়েতের ওই ভবনে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করা বিদেশি কর্মীরা থাকেন সেই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত কোনো চাকরির চাহিদাপত্র নেই। এর মানে হলো, আগুন লাগা ভবনে কোনো বাংলাদেশি নেই এবং বাংলাদেশি কর্মীরা আগুনে আহত বা নিহত হননি। তার পরও দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে আরো খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’

কুয়েতের উপ-প্রধানমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসুফ আল-সাবাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় ভবনটির মালিককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা শেখ ফাহাদ বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে রিয়েল এস্টেট মালিকদের লোভই এসব বিষয়ের দিকে পরিচালিত করে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‌‌যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটি শ্রমিকদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং সেখানে প্রচুর শ্রমিক ছিলেন। কয়েক ডজন লোককে উদ্ধার করা হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আগুনের ধোঁয়ায় নিশ্বাসের ফলে অনেক লোক মারা গেছে।