News update
  • Expanding Bangladesh-Afghanistan Trade Prospects     |     
  • End misuse of police, ensure pol neutrality: Noted Citizens     |     
  • Decision on corridor must come from Parliament: Tarique     |     
  • Two teens killed in landslide while playing football in Ctg     |     
  • BUET team awarded for early breast cancer screening system     |     

চাকরির লোভ দেখিয়ে রাশিয়ায় পাচার: ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশি নিহত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-02-01, 8:12am

erwrwerw-e504a2fdde537dbf0d01f7b69544238e1738375978.jpg




মাসে আড়াই লাখ টাকা বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে ১৮ লাখ টাকা নিয়ে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার ড্রিম হোম ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রাশিয়ায় পাঠায় দালাল চক্র। সেখানকার দালালের খপ্পরে পড়ে চাকরির নামে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হুমায়ুন কবির (২৮)।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির ও তার দুলাভাই রহমত আলী সংসারের সচ্ছলতা আর সন্তানদের ভবিষ্যতের আশায় রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে ছেলের মৃত্যু আর জামাইকে ফিরে পেতে কেঁদেই চলেছেন কারীমুন বেগম। ২৬ জানুয়ারি রাতে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি বিলাপ করে চলেছেন। তার দাবি, অন্তত ছেলের মরদেহ যেন তিনি শেষবারের মতো দেখতে পারেন। এ ছাড়া, স্বামীকে হারিয়ে এক বছরের মেয়ে প্রীতিকে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন হুমায়ুনের স্ত্রী তারা বেগম। তিনি দালালদের শাস্তি দাবি করেছেন।

তারা জানান, হুমায়ুন কবির ও রহমত আলীকে ঢাকার ড্রিম হোম ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরব, তারপর টুরিস্ট ভিসায় রাশিয়ায় নেয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের বাধ্য করা হয় যুদ্ধে অংশ নিতে। তিন মাসের মাথায় আসে নির্মম সংবাদ। ২৬ জানুয়ারি ড্রোন হামলায় হুমায়ুন কবিরের মৃত্যু হয়। তার দুলাভাই রহমত আলী এখন ফিরতে চান দেশে।

হুমায়ুনের বড় বোন মেঘনা বেগম জানান, চলতি মাসের ২০ তারিখে হুমায়ুন ও রহমত জানান তাদের সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে। এরপর ২৬ জানুয়ারি রহমত জানায় হুমায়ুনের মৃত্যু হয়েছে। দালালের খপ্পরে পড়ে তার পরিবারের সর্বনাশ হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে মরদেহ ফেরত আনার দাবি জানান।

এদিকে, ঢাকার ড্রিম হোম ট্রাভেল এন্ড ট্যুরস লিমিটেড কোম্পানিতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা অফিস বন্ধ করে পালিয়েছে। স্থানীয় দালালদের ফোন নম্বরও বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে, সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন, তবে দ্রুত খোঁজ নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি ।আরটিভি