News update
  • UN agencies reject Israeli plan to use aid as ‘bait’ over Gaza     |     
  • EU’s Ocean Leadership Faces Test as Treaty Clock Ticks     |     
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     

৩ বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করছে জার্মানি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-04-12, 7:20am

germany-news-7c11baf57760b34c1d9b81af54ec75011744420829.jpg




জার্মানিতে তিন বছরে নাগরিকত্ব পাওয়ার বিধান বাতিল করতে যাচ্ছে নতুন সরকার। সদ্য গঠিত রক্ষণশীল সিডিইউ/সিএসইউ এবং মধ্য বামপন্থি এসপিডি-এর যৌথ জোট সরকারের চুক্তিপত্রে এই পরিকল্পনার উল্লেখ রয়েছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর সরকার গঠনে এই দুই দলের সমঝোতা হয়। জোটের চুক্তি অনুযায়ী, নাগরিকত্ব আইনে পূর্ববর্তী সরকারের আনা কিছু সংস্কার বাতিল করা হবে। বিশেষ করে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বাধীন বিদায়ী সরকারের ‘তিন বছরে নাগরিকত্ব’ পাওয়ার সুযোগটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন সরকার।

এই বিধান অনুসারে, যারা জার্মানিতে অন্তত তিন বছর সি১ লেভেলের ভাষা দক্ষতা অর্জন করে এবং সমাজে একীভূত হওয়ার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারত, তারা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারত। তবে সিডিইউ/সিএসইউ দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়মের বিরোধিতা করে আসছিল। তাদের মতে, তিন বছরের মধ্যে নাগরিকত্ব দেওয়া মানে হলো খুব অল্প সময়েই একজন বিদেশির নাগরিক হয়ে যাওয়া, যা তারা অনুচিত বলে মনে করে।

যদিও তিন বছরের নিয়ম বাতিল হচ্ছে, তবে পাঁচ বছর বসবাসের পর নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়মটি বহাল থাকবে।

এদিকে, নির্বাচনের সময় আলোচনায় থাকা দ্বৈত নাগরিকত্ব বাতিল সংক্রান্ত কোনও বিধান নতুন সরকার রাখছে না। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের অভিবাসীরাও আগের মতো একই সাথে নিজ দেশের এবং জার্মানির পাসপোর্ট রাখার সুযোগ পাবেন।

নির্বাচনী প্রচারে সিডিইউ/সিএসইউ দ্বৈত নাগরিকদের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সমর্থন, ইহুদিবিদ্বেষ বা চরমপন্থার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও এই প্রস্তাবটি তখন সমালোচিত হয় এসপিডি এবং জার্মানির মাইগ্রেশন অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত নতুন জোট সরকার নাগরিকত্ব বাতিলের সেই বিতর্কিত প্রস্তাবটিকে আমলে নেয়নি। যমুনা।