
যুক্তরাজ্যে যেতে আগ্রহী ভিসা আবেদনকারী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সুরক্ষায় একটি কঠোর সতর্কতা বার্তা জারি করেছে ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন। জালিয়াতি ও প্রতারক চক্রের হাত থেকে আবেদনকারীদের রক্ষায় এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্বব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রমও শুরু করেছে দেশটি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য যদি কেউ ভিসা জালিয়াতি কিংবা অবৈধ পথ অবলম্বন করেন, তবে তাকে যুক্তরাজ্য সরকার ১০ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেবে। তিনি বলেন, যারা জালিয়াতির চেষ্টা করেন, তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাল ভিসার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে এমন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
হাইকমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, অপরাধী এবং প্রতারকদের মাধ্যমে পরিচালিত অবৈধ কার্যকলাপের ফলে প্রতিবছর ভিসা আবেদনকারীদের লাখ লাখ পাউন্ড আর্থিক ক্ষতি হয়। এসব চক্র বাংলাদেশসহ বিশ্বের দুর্বল মানুষকে শোষণ করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং এতে আইনি প্রক্রিয়াও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ভিসা জালিয়াতি এবং অবৈধ অভিবাসন সুবিধা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অপরাধীদের নেটওয়ার্ক সম্ভাব্য ভিসা আবেদনকারীদের প্রতারণা করার জন্য ক্রমবর্ধমান পরিশীলিত কৌশল ব্যবহার করছে।
হাইকমিশনার সারাহ কুক সতর্ক করে বলেন, ‘ভিসা জালিয়াতি মানুষের স্বপ্ন ধ্বংসের পাশাপাশি পরিবারগুলোকেও বিপদের মুখে ঠেলে দেয়। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মানুষের উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে ব্যবহার করে তাদের অর্থ হাতিয়ে নেয় এবং বিভিন্ন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।’
ভিসাপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, যুক্তরাজ্যের ভিসা সংক্রান্ত তথ্যের জন্য সবসময় সরকারি ওয়েবসাইট ব্যবহার করা উচিত এবং সরকারি ওয়েবসাইট (www.gov.uk)-এর মাধ্যমেই আবেদন করা উচিত।
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান, ‘আমাদের মূল বার্তা হলো–সরকারি চ্যানেল ব্যবহার করুন, সব তথ্য যাচাই করে নিন এবং সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড দেখলে জানান।’