News update
  • AC Tabassum Urmi sacked over anti- govt Facebook posts     |     
  • Bangladeshi killed in BSF firing at Chuadanga border      |     
  • Rains Fuel Disasters in 83pc of Brazilian Cities: Report     |     
  • Hamas ready and serious to reach an accord if it ends war     |     
  • Paradise lost: Cox’s Bazar tourists shocked by wastes at sea     |     

লজ্জার ইতিহাসে শুরু কাতার বিশ্বকাপ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2022-11-21, 8:34am

resize-350x230x0x0-image-199828-1668967181-56b95ffd7ffc31b8ef92c6d27d187b071668998070.jpg




১৯৩০ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় ফুটবল বিশ্বকাপ। এরপর থেকে কেটে গেছে ৯২ বছর। ২০২২ সালে এসে ফুটবল বিশ্বকাপের ২২তম আসর বসেছে কাতারে। যেখানে উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠে নেমেছে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে আসা কাতার এবং লাতিন আমেরিকার দল ইকুয়েডর।

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নেমে অবশ্য হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো কাতারকে। দোহার আল বায়াত স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ২-০ গোল ব্যবধানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এই হারের কারণে ফুটবল বিশ্বকাপে নতুন ইতিহাসের জন্ম হলো। তবে কাতারের জন্য সেটি লজ্জারই বটে।

এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে স্বাগতিক হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নেমে হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। এর আগে ৯২ বছরের ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্বাগতিক হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নেমে হারেনি কোনো দলই।

১৯৩৪ সালে প্রথমবারের মতো স্বাগতিক হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইতালি। আজ্জুরিরা ৭-১ গোল ব্যবধানের বিশাল জয় দেখেছিল। এরপর ১৯৫০ সালে ব্রাজিল ৪-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছিল মেক্সিকোকে। লাতিন আমেরিকার দল আবারও উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক সুইডেনের বিপক্ষে হেরেছিল তারা।

১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো স্বাগতিকরা উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দেখেনি। তবে সেবার ইংল্যান্ড-উরুগুয়ের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরের বিশ্বকাপে একই ঘটনার শিকার হয়েছে স্বাগতিক মেক্সিকো এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন। তবে ২০০৬ সালে এসে আবার জয়ে ফেরে স্বাগতিকরা। সেবার উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানি কোস্টারিকাকে হারায় ৪-২ গোল ব্যবধানে।

পরের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য ড্র করে। তাদের সঙ্গে মেক্সিকোর ফলাফল ছিল ১-১। ২০১৪ সালে ব্রাজিল এবং ২০১৮ সালে রাশিয়া উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক হিসেবে মাঠে নেমে সহজ জয় তুলে নেয়। তবে এবার লজ্জার হারে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করলো স্বাগতিক কাতার।

এদিন অবশ্য দুই দলকে সমর্থন জানানোর লক্ষ্যে ৬০ হাজার ধারণক্ষমতার আল বায়াত স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। যদিও এদিন স্বাগতিক দর্শকরা হতাশায় শুরু করেন। কাতার শুরু থেকে বিচ্ছিন্ন ফুটবল খেলতে থাকে।

যার কারণে ৫ম মিনিটে প্রায় গোল খেয়েই বসেছিল কাতার। স্বাগতিকদের জালে বল জড়িয়ে দেয় লাতিন আমেরিকার দেশটি। তবে অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়ার সেই গোল ভিএআরে দেখে অফসাইডের জন্য বাতিল করে দেন রেফারি।

অবশ্য গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইকুয়েডর এবং ভ্যালেন্সিয়াকে। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে কাতার গোলরক্ষক ইকুয়েডরের এই অধিনায়ককে ডি বক্সের মধ্যেই ফাউল করলে পেনাল্টি পায় লাতিন আমেরিকার দলটি।

স্পট কিক থেকে বল জালে জড়াতে কোনো ভুলই করেননি ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের ২য় গোলটি ইকুয়েডর আদায় করে ম্যাচের ৩১তম মিনিটে। প্রিকাইডোর ক্রস থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান ভ্যালেন্সিয়া। শুরুর গোলটি রেফারি বাতিল না করলে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসতেন তিনি। পরে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন তিনি।

ম্যাচে গোলের সবচেয়ে ভালো সুযোগ কাতার সৃষ্টি করে ম্যাচের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। তবে দলটির স্ট্রাইকার আল মোয়েজ সহজ সুযোগ মিস করেন। হেড করলে নিশ্চিত গোল, এমন জায়গা থেকে বল মাথায় ছোঁয়াতে পারেননি তিনি।

প্রথমার্ধ খারাপ খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে বেশ ভালোই লড়াই করে কাতারের ফুটবলাররা। বিশেষ করে দলটির ডিফেন্ডাররা। যার ফলে ইকুয়েডর বেশি সুবিধা করতে পারেনি। আক্রমণ সংগঠিত করলেও গোল করতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে কাতারও কিছু আক্রমণ করে। তবে জালের দেখা খুঁজে পায়নি স্বাগতিকরাও।

দুই দলই এদিন প্রচুর ফাউল করে। কাতারের ১৫ ফাউলের বিপরীতে ইকুয়েডরও করে ১৫টি। এরমধ্যে কাতারের ৪ এবং ইকুয়েডরের ২ ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।