News update
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ amid fog     |     
  • BSF halts fencing at Joypurhat border after BGB intervention     |     
  • 30 NCP leaders urge Nahid Islam not to form alliance with Jamaat     |     
  • Tarique offers fateha at graves of Pilkhana martyrs, father-in-law     |     
  • Navy detains 11 over smuggling diesel, cement to Myanmar     |     

নেপালকে উড়িয়ে সাফের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2024-08-29, 7:16am

1f4a8971_11zon-839a28049a8bc3732eea287550f596d41724894219.jpg




ঘরের মাঠে পরিস্কার ফেভারিট ছিল নেপাল। ম্যাচের শুরুটাও তারা করে ফেভারিটের মতোই! কিন্তু বাংলাদেশের গোলবারের নায়ক আসিফ হোসেন ও জয়ের নায়ক মিরাজুল ইসলাম মিলে ভেস্তে দেন স্বাগতিকদের পরিকল্পনা। মিরাজুল নিজে করেন জোড়া গোল, সতীর্থকে দিয়ে করান আরেকটি গোল। ইনজুরি সময়ে শেষ পেরেকটি পুঁতেন পিয়াস আহমেদ। চার গোলের দাপটে নেপালকে উড়িয়ে সাফ অনুর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।

সাফ অনুর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেপালকে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) ৪-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন সামির। বাংলাদেশের হয়ে মিরাজুল ছাড়া বাকি দুই গোল করেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও পিয়াস আহমেদ।   

বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে এর আগেও তিনবার ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে প্রত্যেকবার। ২০১৭ সালের নেপালের বিপক্ষে হারের পর ২০১৯ ও ২০২২-এ দুবারই ভারতের বিপক্ষে হেরেছে যুবারা। অতীতের তিক্ততা ভুলে আজ শিরোপা ঘরে তোলার বড় সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগালো বাংলাদেশ। দারুণ জয়ে অতীতের মধুর প্রতিশোধও মাঠেই নিয়ে নিলেন মিরাজুলরা।

সাফ অনুর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে বাংলাদেশের সামনে বড় বাধা ছিল ভারত। সেই ভারতকেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২০ ফুটবল দল। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে ফাইনালেও যে চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনি। কারণ, চলতি এবারের আসরে একমাত্র হারটা নেপালের বিপক্ষেই ছিল বাংলাদেশের।

তবে, সব পরিসংখ্যান পেছনে ফেলে আজ ফাইনালে জ্বলেছেন মিরাজুলরা। নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচের শুরু দখল ও আক্রমণে নেপাল এগিয়ে থাকলেও ডিফেন্ড ও গোলবারের দায়িত্ব ভালোভাবে সামলেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের নবম মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়ে যায় নেপাল। কিন্তু নিরাজের নেওয়ার শর্ট থামিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন আসিফ। এর তিন মিনিট পর আবারও নিরাজের আক্রমণ। এবার নেপাল ফরোয়ার্ড বাঁ দিক থেকে শট নেন। কিন্তু এবারও বাংলাদেশের ত্রাতা আসিফ। গোলবারে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশকে সেভ করেন ভারত ম্যাচের নায়ক।

বিরতির আগে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবারই নেপালের আক্রমণ বৃথা করে দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া সুযোগ আসে প্রধমার্ধের ইনজুরি সময়ে। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। এই ফ্রি কিক থেকেই দুর্দান্ত শটে নেপালের জাল খুঁজে নেন বাংলাদেশের মিরাজুল। তাতে এগিয়ে যাওয়ার স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে আবারও গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিরাজুলই। নেপালের ডি বক্সে ফেলা ক্রস বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড সতীর্থ মিরাজুলের উদ্দেশ্যে পাঠান। পোস্টের সামনে ফাঁকায় দাঁড়ানো মিরাজুল হেডে বল পাঠিয়ে দেন ঠিকানায়।

৭০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে বাংলাদেশ। এবারের গোলের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে মিরাজুলের নাম। যদিও গোলটি নিজেই করতে পারতেন। কিন্তু সেটি না করে বল ঠেলে দেন সতীর্থ রাহুলের দিকে। মিরাজুলের পাস পেয়ে অনায়সে বল ঠিকানায় পাঠান বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড।

তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ছন্দে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপাল। শেষ পর্যন্ত ৮০তম মিনিটে সামিরের পা থেকে একটি গোল শোধ করে নেপাল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। যোগ করা সময়ে পিয়াস আহমেদের গোলে ম্যাচের নাগাল পুরোটাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। বড় জয় নিয়ের স্বস্তি নিয়ে সাফের শিরোপা মঞ্চে উৎসবে মাতে  মারুফুল হকের দল। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।