দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আর্জেন্টিনা। বাছাইয়ের শেষ ম্যাচটিতে তারা ইকুয়েডরের বিপক্ষে হেরে যায়। ১০ সেপ্টেম্বরের ওই হারের পর আজ ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরলো।
মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়টি কষ্টার্জিত, ১-০ গোলে। জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেছেন রিয়াল বেতিস মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো।
এই ম্যাচে মেসি খেলবেন না, সেটা অনেকটা জানাই ছিল। কিন্তু যে তিনি স্কোয়াডেও থাকবেন না, সেটা অনুমিত ছিল না। অনুশীলনে তাকে কিছুটা ক্লান্ত বলে মনে হয়েছিল কোচিং স্টাফের সদস্যদের কাছে। এমএলএসের ব্যস্ত সূচির কারণে গত ২১ দিনে ইন্টার মায়ামির হয়ে মেসিকে ৬টি ম্যাচ খেলতে হয়েছে। দলের সেরা তারকাকে ছাড়া খেললেও আধিপত্যই দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। যদিও ভেনেজুয়েলাকে চেপে ধরা দলটি আক্রমণে উঠে বারবার ঠিকঠাক ফিনিশিং দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
গোল করার জন্য আর্জেন্টিনা সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পেয়েছিল ম্যাচের ৬ মিনিটে। বক্সের ভেতর দূরপাল্লার পাস ধরে হেড করেছিলেন নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো। ফাঁকায় থাকা লাউতারো মার্টিনেজ জোরালো শট নিলেও সেটা ছিল গোলরক্ষক হোসে কন্ট্রেরাসের সোজা। হাত দিয়ে বল পোস্টের বাইরে দিয়ে পাঠিয়ে দেন ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক। ১৩ মিনিটে পড়ে যাওয়ায় সেলসো ট্যাপইন করে গোল করার সুযোগ হাতছাড়া করেন।
১৭ মিনিটে আর্জেন্টিনার আরেকটি শট ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। ভেনেজুয়েলা একমাত্র সুযোগটি তৈরি করেছিল ৩০ মিনিটে। আর্জেন্টিনার গোলপোস্ট অরক্ষিত থাকলেও তারা লিড নিতে পারেনি। অবশেষে ম্যাচের ৩১ মিনিটে স্ক্যালোনির শিষ্যরা ডেডলক ভাঙে। লাউতারো মার্টিনেজের পাস থেকে সোজা গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়েছিলেন সেলসো। হা-পায়ে ফেরালেও ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক জাল বাঁচাতে পারেননি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এটাই ম্যাচের প্রথম ও শেষ গোল।