ইউরোপের দেশগুলো যেখানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলছে, সেখানে কনমেবল অঞ্চলের দেশগুলো খেলছে প্রীতি ম্যাচ। কারণ, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আগেই শেষ করেছে তারা। বুধবার (১৫ অক্টোবর) প্রীতি ম্যাচে পুয়ের্তো রিকোর মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। তাদেরকে ৬-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মেসির দল।
পুয়ের্তো রিকোর বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন লাউতারো মার্টিনেজ এবং অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার। একটি গোল করেছেন মন্টিয়েল, আর বাকি গোলটি এসেছে আত্মঘাতী থেকে। ম্যাচে দুইটি অ্যাসিস্ট করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টে করলেন লিওনেল মেসি।
যুক্তরাষ্ট্রের চেজ স্টেডিয়ামে শক্তিশালী একাদশ নিয়েই পুয়ের্তো রিকো বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখায় আলবিসেলেস্তারা। বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে পুয়ের্তো রিকো থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল মেসির দল।
ম্যাচের প্রথম হাফে তিনটি এবং দ্বিতীয় হাফে তিনটি গোল হয়। ১৪তম মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে গোলের খাতা খোলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। ডি-বক্সের ভেতরে নিকোর শট মাথা লাগিয়ে বল জালে জড়ান এই মিডফিল্ডার। ২৩ মিনিটে আসে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি। আর এই গোলের অ্যাসিস্ট করেই ইতিহাসে নাম লেখান মেসি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে এতদিন সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট মেসির সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনোভান এবং ব্রাজিলের নেইমার। তাদের ছাড়িয়ে গেলেন মেসি। দ্বিতীয় গোলটি করেন মন্টিয়েল।
৩৬তম মিনিটে আবারও ম্যাক অ্যালিস্টারের গোল। তিন গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয় হাফের শুরুতেই বেশকিছু পরিবর্তন আনেন আর্জেন্টিনার কোচ। ৬৪তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে আরও এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।
আর্জেন্টিনার শেষের দুইটি গোল আসে বদলি হিসেবে নামা লাউতারো মার্টিনেজের পা থেকে। এই দুই গোলের একটি অ্যাসিস্ট করেন মেসি। ৮৪তম মিনিটে মেসির ব্যাক হিলে বল পেয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন মার্টিনেজ। তাতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির অ্যাসিস্ট দাঁড়ালো ৬০-এ।