বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরী বলে মনে করেন সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা রাজধানীর শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পরিবেশগত সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানাস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে ইউএসএআইডি ও কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনাল (সিপিআই)’র সহযোগিতায় দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে), বারসিক, ইনসাইটস ও কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) যৌথভাবে বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্প আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান। বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমেদ অটলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, কাপের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব হক প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন ও বিধিমালা থাকলেও তা কার্যকর নেই। ফলে বর্জ্য পরিবহনে স্বচ্ছতা নেই। এতে পরিবেশ বাতাসের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এমনকি মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ফেরাতে তদারিক বাড়ানো প্রয়োজন। একইসঙ্গে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম বড়ধরণের ভূমিকা পালন করতে পারে।
বক্তারা বলেন, বর্জ্য থেকে দুষণের কারণে জনস্বাস্থ্যে বড়ধরণের বিরুপ প্রভাব পড়ছে। এই প্রভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, সমাজকল্যাণ ও পরিবেশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। তারা আরো বলেন, পেশাদার কর্মীদের দিয়ে রাজধানীর বাসাবাড়ির বর্জ্য অপসারণ করতে হবে। আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী বর্জ্য অপসারণের কর্মকৌশল নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
সভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রম জোরদার করতে গণমাধ্যম কর্মীদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।