Kuakata seashore being cleared of wastes.
পটুয়াখালী: জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও সমুদ্রকে দূষনমুক্ত রাখতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে গত ৪৮ দিনে ১০৯৩ কেজি বর্জ্য অপসারন করা হয়েছে। এসব বর্জ্যের মধ্যে চানাচুর, চিপস এবং বিস্কুটের মোড়ক ২৬৬ কেজি, পলিথিন ১৩৯ কেজি, প্লাষ্টিকের বোতল ২৩৭ কেজি, মাছ ধরা ছেড়া জাল ৪৫১ কেজি। ওয়ার্ল্ডফিশ, ইকোফিশের উদ্যোগে ব্লু-গার্ড সদস্যরা সপ্তাহে ১ দিন করে বছরে মোট ৪৮ দিনে সৈকতের বিভিন্ন স্থান থেকে এ বর্জ্য গুলো অপসারন করে। পরে পচনশীল উপকরণ গুলোকে নিরাপদ স্থানে ডাম্প করা হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ব্যাগ, চিপস, চানাচুরের বিস্কুটের মোড়ক সহ পচনশীল উপকরণ ময়লা আবর্জনা সংগ্রহে রেখেছে বলে আন্তজার্তিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানিয়েছেন।
ওয়ার্ল্ড ফিশ, ইকোফিশের তথ্য মতে, দৈনিক ২৩ কেজি করে এসব বর্জ্য সমুদ্রে মিশে যায়। এছাড়া ৪৮ দিনে ১০৯৩ কেজি। আর বছরে ৮০৩৩ কেজি । তবে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকত থেকে বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার ১৪ কেজি এসব বর্জ্য সমুদ্রে যাওয়ার শংকা করেছেন গবেষনা প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের ২২ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকতসহ আশে পাশের এলাকা থেকে বর্জ্যগুলো ব্লুগার্ড সদস্যরা সংগ্রহ করে।
ব্লুগার্ড সদস্য মো. মানিক বলেন, 'জীবিকার জন্য মানুষ, নদী কিংবা খালের উপর নির্ভরশীল। অথচ ক্ষতিকর প্লাষ্টিক, বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য নদী এবং সমুদ্রে ফেলানোর কারনে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ধ্বংস করে ফেলছে। সমুদ্রকে দূষন মুক্ত রাখতে ওয়ার্ল্ড ফিশের সাথে আমাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
আন্তজার্তিক গবেষনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিশ-২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, পৃথিবীর ৭১ ভাগ জুড়ে রয়েছে সমুদ্র। ফলে সাগর দূষনমুক্ত রাখা খুবই জরুরী। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষন এবং সাগরদূষন কমানোর জন্য ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ওয়াল্ডফিশ বাংলাদেশের ইকোফিশ-২ অ্যাক্টিভিটি কলাপাড়ায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ২৬ জন যুবককে ব্লু-গার্ড হিসেবে যুক্ত করেছে। এছাড়া সাগরে জাটকা এবং মা ইলিশ শিকার না করার বিষয়ে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে ব্লুগার্ড সদস্যরা।
ইকোফিশ কার্যক্রমের বিজ্ঞানী মো. জলিলুর রহমান হাওলাদার বলেন, ব্লু-গার্ড উদ্যোগটি উপকূলীয় ইকোসিস্টেমের সুরক্ষার মাধম্যে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সহায়তা করছে। প্রায় ১০০ জন যুবককে এ কাজে যুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ ভাগ নারী। এ বছর সেন্টমার্টিন দ্বীপেও অন্তর্ভুক্ত করে ব্লু-গার্ড কার্যক্রমকে আরো জোরদার করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। - গোফরান পলাশ