News update
  • Dhaka breaths ‘very unhealthy’ air Wednesday morning     |     
  • Referendum Ordinance, 2025 issued     |     
  • Chemical fertilizer overuse threatens soil health in northern BD     |     
  • C.A. Yunus expresses concern, sympathy over Korail slum fire     |     
  • UNAIDS Warns of Deepest HIV Response Setback in Decades     |     

ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ, খুশি পশ্চিমবঙ্গবাসী ও আমদানিকারকরা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বানিজ্য 2025-09-11, 9:19am

57480097b0c1b046db56db64392c211ea7ff8238571f6821-844c6206fa3c9ba170c8af547926bd821757560740.png




আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ মাছ রফতানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বাংলাদেশের ইলিশের বাণিজ্যিক চালান পাঠানোর অনুমোদনে খুশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাধারণ মানুষ ও আমদানিকারকরা।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে স্থানীয়ভাবে ইলিশ ধরা হলেও সেই পরিমাণ রাজ্যের বিপুল চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাই প্রতিবছর গুজরাট কিংবা মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করতে হয়। বিশেষ করে দুর্গাপূজার আগে ইলিশের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

বাজারে চাহিদা নিয়ে অস্থিরতা কাটাতে প্রতিবছর পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ আমদানির বিশেষ অনুমতি চান। প্রতিবারের মতো এবারও সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তবে দেশের স্বার্থ রক্ষায় রফতানির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বেশ কিছু শর্ত।

অন্তবর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ বলছেন, ‘ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ আসছে, এটি খুবই ভালো খবর। আমরা ইলিশের অপেক্ষায় রয়েছি।’

এতে খুশি পশ্চিমবঙ্গের আমদানিকারকরাও। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ আমদানিকারক সৈয়দ আনোয়ার মোকসেদ বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত দুই বাংলার সেতুবন্ধনকে ফুটিয়ে তুলেছে। এটি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ভালোর দিকে নিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।’

এর আগে ২০২৪ সালের আগস্টের পর প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন বেড়েছিল। তবে এর মাঝেও ভারতের জন্য ইলিশের এই বিশেষ বাণিজ্যিক চালানকে অনেকে দুই দেশের সম্পর্কের নতুন সুবাতাস হিসেবে দেখছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশের স্থানীয় চাহিদার কথা বিবেচনা করে তৎকালীন সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজার আগে পশ্চিমবঙ্গে ফের ইলিশ পাঠানো শুরু হয়।

চলতি বছর আগ্রহী ইলিশ রফতানিকারকদের ১১ সেপ্টেম্বরের (বিকেল ৫টা) মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদফতরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিল দাখিল করতে হবে। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রফতানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরই মধ্যে যারা আহ্বান ছাড়াই আবেদন করেছেন তাদেরকেও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তবে পরে সেটির পরিমাণ ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়েছিল। সময়।