মোবাইল রিচার্জ নিয়ে গ্রামীণফোনের (জিপি) মুখোমুখি 'সাইবার ৭১'। ১৪ লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপে জিপির ২০ টাকা রিচার্জে ১০ দিন মেয়াদ নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। মাস তিনেক আগেও সর্বনিম্ন রিচার্জ ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করায় গ্রাহক অসন্তোষের মুখে পড়ে জিপি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চাপে টাকার অঙ্ক ঠিক রাখলেও একমাসের মেয়াদ নেমেছে ১০ দিনে। যদিও জিপির দাবি, সবকিছু হয়েছে আইন মেনেই।
চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে মোবাইলে সর্বনিম্ন রিচার্জ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার ঘোষণা দেয় গ্রামীণফোন। মাইজিপি অ্যাপে নোটিশ এবং এ সংক্রান্ত এসএমএস পাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা।
গ্রাহক অসন্তোষ আমলে নিয়ে গ্রামীণফোনকে ডেকে সতর্ক করে বিটিআরসি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপে টাকার অঙ্ক ২০-এ থাকলেও মেয়াদ নেমেছে ১০ দিনে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জে একমাসের পরিবর্তে ১০ দিন মেয়াদ পাচ্ছেন জিপি গ্রাহকরা। ১০ দিন পর টাকা রিচার্জ না করলে আউটগোয়িং বন্ধ অর্থাৎ কাউকে কল করা যাচ্ছে না। ইনকামিং-আউটগোয়িং ঠিক রাখতে একজন জিপি গ্রাহককে এখন মাসে রিচার্জ করতে হচ্ছে ৬০ টাকা।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,
ইনকামিং-আউটগোয়িং ঠিক রাখতে জিপি গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। এতে একসময় প্রতিষ্ঠানটি থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবেন গ্রাহকরা।
দেশের শীর্ষ অপারেটর এমন সিদ্ধান্ত নিলেও '২০ টাকা রিচার্জে এক মাস মেয়াদ' বহাল রেখেছে রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক। তাই জিপিকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ সাইবার ৭১'-এ। ১৪ লাখ সদস্যের এই গ্রুপে জিপির সর্বনিম্ন রিচার্জ ও মেয়াদ নিয়ে নেতিবাচক নানা মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। নম্বর ঠিক রেখে জিপি থেকে অন্য অপারেটরে যেতে বাধার মুখে পড়ার কথা জানান কেউ কেউ।
গ্রামীণফোন বলছে, ২০১৫ সালের ট্যারিফ নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বনিম্ন রিচার্জ ও মেয়াদের বিদ্যমান সেবাটি গ্রাহককে অফার করা হচ্ছে। তাই অসন্তোষ থাকলেও সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন গ্রামীণফোনের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত।
তিনি বলেন,
বিটিআরসির ট্যারিফ নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বনিম্ন রিচার্জ ও মেয়াদের বিদ্যমান সেবাটি গ্রাহককে অফার করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে।
এমন পরিস্থিতিতে বিটিআরসি বলছে, ঈদের পর সর্বনিম্ন রিচার্জ ও মেয়াদের বিষয়টি নিয়ে আবারও ডাকা হবে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের কোনো কর্মকর্তা। সময় সংবাদ।