News update
  • WHO Warns Global Surge in Antibiotic Resistance     |     
  • Dhaka stocks rebound after five-day losing streak     |     
  • Cox’s Bazar Airport Upgraded to International Status     |     
  • With $80 per capita Bangladesh is getting trappeded in climate debt     |     
  • Dhaka’s air recorded ‘unhealthy’ Monday morning     |     

সোনালি ব্যাগের উৎপাদন প্রযুক্তি উন্মুক্ত হচ্ছে!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি 2024-10-21, 10:08am

rtretertert-a364a916f40ff4bc6212a142a432762e1729483718.jpg




অবশেষে বাণিজ্যিকভাবে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে সোনালি আঁশের সোনালি ব্যাগ। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা প্রকল্পের অধীনেই আড়াই মাস পর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন। যখন বাজারে পলিথিন বন্ধে সরকারি কঠোরতায় সহজলভ্য বিকল্প নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ভোক্তা-ব্যবসায়ীরা তখন এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালো বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। এমনকি এর উৎপাদন প্রযুক্তি-কৌশল উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চায় সংস্থাটি।

২০১৬ সালে উদ্ভাবন আর ২০১৭ সালে শীতলক্ষ্যার তীরে সরকারি লতিফ বাওয়ানি জুট মিলে নেয়া হয় পরিবেশবান্ধব সোনালি ব্যাগ উৎপাদনের পাইলট প্রকল্প। এরপরের ৮ বছরে দূষণমুক্ত শপিং ব্যাগের আশার পালে শুধু হাওয়াই লেগেছে; কিন্তু ব্যাগ আসেনি বাজারে। তবে, মানে ভালো হওয়ায় তা ঠিকই গেছে বিদেশের সুপারশপ-শপিং মলে।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পরিবেশ সুরক্ষার দায়বদ্ধতা থেকে চলতি মাসের শুরু থেকে দেশের সুপারশপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে পলিথিন; আগামী মাস থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। সরকারি এমন কঠোর সিদ্ধান্তে ব্যয় সাশ্রয়ী বিকল্পের সন্ধানে দিশেহারা ক্রেতা-বিক্রেতা।

তারা বলছেন, পলিথিন বন্ধের সিদ্ধান্ত অবশ্যই ভালো উদ্যোগ তবে বিকল্প ব্যাগের দাম তুলনামূলক বেশি। তাই কমমূল্যের পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বাজারে সরবরাহ বাড়ানো দরকার।

এ অবস্থায় আবারও সোনালি আভা ছড়াচ্ছে সেই সোনালি ব্যাগ। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিজেএমসি বলছে, কেটে গেছে আর্থিক জটিলতা। ছাড় পাচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। তাই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হচ্ছে আগামী বছরের শুরুতেই।

বিজেএমসির চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বলেন,সোনালি ব্যাগ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে প্লানিং কমিশনে বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকে বিজেএমসিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে সোনালি ব্যাগের পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হবে।

তবে কতটা ব্যয় সাশ্রয়ী হবে পলিথিনের বিকল্প হয়ে আসা এই সোনালি ব্যাগ, এমন প্রশ্নে উদ্ভাবক ড. মোবারক আহমদ খান জানান,বর্তমানে বাজারে গেলে ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে পলিপ্রোপাইলিনের যে ব্যাগ ক্রেতারা কেনেন; সোনালি ব্যাগও মিলবে সেই দামের মধ্যেই। পাওয়া যাবে পাঁচ থেকে ৫০ কেজির বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ।

সুপারশপ মালিকদের তথ্য, দেশে বর্তমানে দেড় হাজারের বেশি সুপারশপে দৈনিক বিভিন্ন আকারের ব্যাগের চাহিদা সাড়ে ৩৭ লাখ। বিপুল সংখ্যক এই ব্যাগের জোগান কি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিজেএমসির একার পক্ষে দেয়া সম্ভব, এমন প্রশ্নের সহজ উত্তরে সোনালি ব্যাগের উৎপাদন কৌশল উন্মুক্ত করে দিতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

পলিথিনের বিকল্প পাট ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানো গেলে স্থানীয় বাজার থেকে পলিথিন তুলে নেয়া সম্ভব হবে। এছাড়া দেশে আবিষ্কৃত সোনালি ব্যাগের উৎপাদন বাড়ানো গেলে স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বৈশ্বিক চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।