News update
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     
  • S Arabia, Pak ink defence pact after Israeli strike on Qatar     |     
  • No new committee forming, focus on polls candidates: Tarique     |     
  • Dhaka-Beijing partnership to advance peace, prosperity: Yunus     |     

হবিগঞ্জে খোয়াই ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি : তিন উপজেলা প্লাবিত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2022-06-19, 9:27am




টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হবিগঞ্জের ৩টি উপজেলার বেশ কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহতভাবে বাড়ছে খোয়াই, কালনী, কুশিয়ারা নদীর পানি। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, কুশিয়ারা নদীতে শেরপুর পয়েন্টে ইতোমধ্যে ৮ দশমিক ২৫ মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বালুর বস্তা নিয়ে নদীর বাঁধ রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করা হচ্ছে। 

শনিবার সরজমিনে নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদীর বাধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অনেক বাড়ীঘর পানির নিচে চলে গেছে। 
রাবিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধু বলেন, ঘরে পানি প্রবেশ করায় রান্না করতে অসুবিধা হচ্ছে। 

হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, আজমিরীগঞ্জের নিকলী ঢালা বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বানিয়াচং উপজেলারও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর, রাধাপুর, মথুরাপুর,দিঘলবাগ ও দূর্গাপুর এলাকায় বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। আউশকান্দি ও দিঘলবাগ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহারপুর ও রাধাপুরে কুশিয়ারা নদীর বাঁধের ১ ফুট ৬ ইঞ্চি উপর দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। বাধ রক্ষার জন্য সাড়ে ৪হাজার বস্তা  দেয়া হয়েছে মাটি ফেলার জন্য।

তিনি আরও জানান, শনিবার ৬টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি ৮দশমিক ২৫ মিটার এবং খোয়াই নদীর পানি ৮মিটার প্রবাহিত হচ্ছে। খোয়াই নদীতে একদিনে তিন মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কুশিয়ারা নদীতে প্রতি ৩ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে শনিবার রাতেই নবীগঞ্জ উপজেলাসহ বিস্তির্ণ এলাকা তলিয়ে যাবে। শুক্রবার হবিগঞ্জ শহরে ১৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। ওই সকল এলাকার ১১শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য ইতোমধ্যে ৩০টন চাউল ও ২লাখ ২০হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভরাপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশিক পারভেজ জানান, বৃষ্টি ও বন্যায় জেলার ১৩হাজার হেক্টর রোমান আমন, ২হাজার হেক্টর আউশ ও ৪শ’ হেক্টর শাক-সব্জির জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তথ্য সূত্র বাসস।