News update
  • Sirajganj’s luxuriant mustard fields bloom as an oasis of gold     |     
  • Man killed after boat hits sand-laden bulkhead on Padma River     |     
  • Holy Shab-e-Meraj on January 16     |     
  • 2025: Resilient Economies, Smart Development, and More Jobs      |     
  • Dhaka rejects India's statement on incident at BD HC residence, New Delhi      |     

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কলেরা সংক্রমণের নজিরবিহীনভাবে বৃদ্ধি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিপর্যয় 2022-12-18, 8:42am




বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এ বছর বিশ্বজুড়ে কলেরার প্রাদুর্ভাব নজিরবিহীনভাবে বেড়ে যাওয়ার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী।

তথ্যমতে, ৩০টি দেশে এ বছর এই মারণ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। যা স্বাভাবিকভাবে যে সংক্রমণ দেখা যায়, তার চেয়ে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি।

কলেরা এবং মহামারী ডায়রিয়াজনিত রোগ বিষয়ে ডাব্লিউএইচও-এর দলনেতা ফিলিপ বারবোজা বলেন, বেশিরভাগ ব্যাপক আকারের কলেরার প্রাদুর্ভাব, প্রতিকূল জলবায়ু সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলোর সাথে সরাসরি এবং দৃশ্যমানভাবে সম্পর্কিত।

তিনি বলেন, " উদাহারণ হিসেবে আফ্রিকার শৃঙ্গ (হর্ন অফ আফ্রিকা) এবং সাহেল অঞ্চলের তীব্র খরা উল্লেখ করা যায়। এ ছাড়া উল্লেখ করা যায় বিশ্বের অন্যান্য অংশের ব্যাপক বন্যা, অভূতপূর্ব বর্ষা এবং একের পর এক সাইক্লোনকেও উদাহারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। সুতরাং, আবারও বলা যায় যে বেশিরভাগ কলেরার প্রাদুর্ভাব,জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘটছে।”

এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পাওয়ার মতো কিছু দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, তথাকথিত লা-নিনা জলবায়ু-পরিস্থিতি এই বছরের শেষের দিক পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এই জলবায়ু-পরিস্থিতি সমুদ্র পৃষ্ঠের জলকে শীতল করে দেয়। এই লা-নিনা পরিস্থিতি ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভালভাবে অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী খরা ও বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় বৃদ্ধি পাবে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়েছেন, এ জলবায়ু পরিস্থিতির ফলাফল হিসেবে ব্যাপক আকারের কলেরার প্রাদুর্ভাব আগামী ছয় মাস অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিস্তৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বারবোজা বলেন, এ্ রোগের বিস্তার রোধ করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিনের ঘাটতি ডাব্লিউএইচওকে সাময়িকভাবে তার দুই ডোজের কৌশল স্থগিত করতে এবং একক ডোজ পদ্ধতির দিকে অগ্রসর হতে বাধ্য করেছে। এই পদক্ষেপ আরও অনেক লোককে কলেরার টিকা পেতে সহায়তা করবে।

বারবোজা বলেন, তথ্যের অভাবে বিশ্বব্যাপী কলেরায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন , কমপক্ষে ১৪ টি দেশের তথ্য ইঙ্গিত দেয় যে গড় মৃত্যুর হার ১ শতাংশের বেশি। তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হাইতিতে কলেরায় মৃত্যুর হার প্রায় ২ শতাংশ। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।