News update
  • Dhaka breaths ‘very unhealthy’ air Wednesday morning     |     
  • Referendum Ordinance, 2025 issued     |     
  • Chemical fertilizer overuse threatens soil health in northern BD     |     
  • C.A. Yunus expresses concern, sympathy over Korail slum fire     |     
  • UNAIDS Warns of Deepest HIV Response Setback in Decades     |     

প্রেসিডেন্ট থেকে অধিকার আন্দোলনের নেতা- যুক্তরাষ্ট্রে যত আলোচিত হত্যাকাণ্ড

বিবিসি নিউজ বাংলা, ঢাকা বিবিধ 2025-09-12, 7:13pm

retretret-ff680f64cdf3da5296ce4426c7426b601757682796.jpg




মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী চার্লি কার্ককে হত্যার পর দেশটিতে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে।

বুধবার ইউটাহরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় কার্ক গুলিবিদ্ধ হন। গুলি তার গলায় লাগে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং উদ্দেশ্য কী ছিল তা এখনও জানা যায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর একে রাজনৈতিক সহিংসতার সাথে যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন।

কার্কের উপর হামলা যুক্তরাষ্ট্রে 'গান ভায়োলেন্স' এ আরও একটি অধ্যায় যোগ করল, আর এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যার দীর্ঘ ধারাবাহিকতার সর্বশেষ ঘটনা বলেও দেখা হচ্ছে।

চলুন দেখে নেই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আলোচিত কিছু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।

যেভাবে জন উইলকস বুথ ওয়াশিংটন ডিসির ফোর্ডস থিয়েটারে আব্রাহাম লিঙ্কনকে হত্যা করেছিলেন - কুরিয়ার অ্যান্ড আইভসের ছবি 

প্রেসিডেন্ট থেকে অধিকার আন্দোলনের নেতা- যুক্তরাষ্ট্রে যত আলোচিত হত্যাকাণ্ড

লিঙ্কন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট যাকে হত্যা করা হয়। ১৮৬৫ সালের ১৪ই এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসির এক নাট্যশালায় স্ত্রীকে নিয়ে নাটক দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তখন জন উইলকস বুথ নামের এক অভিনেতা তাকে গুলি করে।

পরের দিন ১৫ই এপ্রিল তিনি মারা যান। কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে-এমনটাই ধারণা করা হয়।

কয়েক দিনের মধ্যে হত্যায় অভিযুক্ত বুথও ভার্জিনিয়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়।

১৮৮১ সালের ২রা জুলাই ওয়াশিংটন ডিসির এক রেলস্টেশনে চার্লস গুইটো তাকে গুলি করে।

চিকিৎসকরা শরীর থেকে গুলি বের করতে না পারায় সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গারফিল্ড মারা যান। তিনি মাত্র কয়েক মাস ধরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন।

মানসিকভাবে অসুস্থ গুইটোকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৮৮২ সালের জুনে ফাঁসি দেওয়া হয়।

১৯০১ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বাফালো শহরে ভাষণ দেওয়ার সময় লিওন জোলগজ নামের একজন 'অ্যানার্কিস্ট' তাকে গুলি করে।

এর কয়েক দিন পর তিনি মারা যান। হত্যাকারীকে দোষী সাব্যস্ত করে একই বছরের অক্টোবরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

১৯৬৩ সালের ২২শে নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে খোলা গাড়িতে যাত্রার সময় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রাইফেল থেকে গুলি চালানো হয় কেনেডিকে লক্ষ্য করে।

দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও তিনি মারা যান।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তন মেরিন লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুই দিন পর লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে ডালাসের এক নাইটক্লাব মালিক জ্যাক রুবি গুলি করে হত্যা করে।

নিউইয়র্কের সিনেটর ও প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাই রবার্ট ১৯৬৮ সালের ডেমোক্র্যাট প্রাইমারি নির্বাচনে অংশ নেন।

ক্যালিফোর্নিয়া প্রাইমারিতে বিজয়ী হয়ে বক্তৃতা শেষ করার পর লস অ্যাঞ্জেলেসের এক হোটেলে তাকে হত্যা করা হয়।

খুনি সিরহানকে 'ফার্স্ট-ডিগ্রি' হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, পরে তা বদলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন।

১৯৬৮ সালে টেনেসির মেমফিসে এক শ্রমিক মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য গেলে হোটেলের বারান্দায় নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিংকে জেমস আর্ল রে নামের এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী গুলি করে।

অল্প সময়ের মধ্যে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ৩৯ বছর।

এর আগেও তার উপর একাধিকবার হামলার চেষ্টা হয়েছিল।

১৯৬৫ সালে নিউইয়র্কের এক বলরুমে পরিবারের সামনেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তখন তার বয়স ছিল ৩৯ বছর।

ম্যালকম এক্স প্রথমদিকে নেশন অব ইসলামের প্রভাবশালী মুখপাত্র ছিলেন, পরে তার অবস্থান কিছুটা নরম হয়ে যায়। তিনি আফ্রিকান-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মধ্যে ইসলামকে একটি সহনশীল ও ঐক্যবদ্ধ ধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন।

১৯৬৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে তার সংগঠনের একটি সমাবেশে বক্তৃতার সময় নেশন অব ইসলামের সদস্যদের হাতে তিনি নিহত হন।

এ ঘটনায় মুহাম্মদ আজিজ, খালিল ইসলাম ও থমাস হাগান নামের তিন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালে আজিজ ও ইসলামের দণ্ড বাতিল করা হয়।

সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড ও হামলার চেষ্টা

সম্প্রতি, ২০২৫ সালের ১৪ই জুন মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে দুই ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাকে তাদের বাড়িতে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়।

এদের মধ্যে স্টেট প্রতিনিধি মেলিসা হর্টম্যান ও তার স্বামী মার্ককে তাদের বাসায় হত্যা করা হয়। এটি "রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা" হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

একই দিনে স্টেট সিনেটর জন হফম্যান ও তার স্ত্রী ইয়ভেটকে গুলি করা হলেও তারা বেঁচে যান।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে পেনসিলভানিয়ার বাটলার শহরে খোলা আকাশের নিচে এক সমাবেশে তার উপর গুলি চালানো হয়, যা সাম্প্রতিক ইউটাহর ঘটনার সাথে বেশ মিল রয়েছে।

সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডায় তার গলফ কোর্সে সিক্রেট সার্ভিস আরেকটি হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে।

এর দুই বছর আগে, ২০২২ সালে, এক হামলাকারী হাতুড়ি নিয়ে সাবেক হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়।