News update
  • Let's build a society of love, tolerance, peace and harmony: Tarique Rahman      |     
  • Bangladesh at a Crossroads as 2025 Reshapes the Nation     |     
  • Khaleda Gets Eternal Farewell from Over a Million of Hearts     |     
  • Sea of Mourners Gathers to Pay Tribute to Khaleda Zia     |     

স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দিতে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশনের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2024-05-18, 2:47pm

dsgdsgsdf-e0d92626d55cbbbb6d0599ff6297c2f41716022034.jpg




হারপিক বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নে নিবেদিত এনজিও সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য অসহায় স্যানিটেশন কর্মীদের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে একত্রে কাজ করা। সম্প্রতি গুলশান-১ এ অবস্থিত রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। 

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম, জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ও হারপিকের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নুসরাত ইমরোজ তিশা, এশিয়াটিকের এ্যাকাউন্ট ডিরেক্টর সামিদা রশিদ আনিকা, গ্রুপ এ্যাকাউন্ট ম্যানেজার ফারহান করিম, রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্তা, মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারুফ তিন্নি, সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার তাবাশ্বের আহমেদ এবং ম্যানেজার (এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স) মো. রাকিব উদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে স্যানিটেশন এবং বর্জ্যনিষ্কাশনের দায়িত্বে নিয়জিত কর্মীরা জনস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু অনেক সময় তারা মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে হিমশিম খায়। জীবন ধারনের জন্য স্যানিটেশনের মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তাদের প্রায় প্রতিদিনই করতে হয়। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা ও হাইজিন মেনে চলা স্যানিটেশন কর্মীদের জন্য অবশ্যই পালনীয় বিষয় হলেও প্রায়শই তা উপেক্ষিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে তারা বিভিন্ন চর্মরোগসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও বরন করে। 

চুক্তি অনুযায়ী এই উদ্যোগের মাধ্যমে এক হাজার স্যানিটেশন কর্মী এবং তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যবীমা ও স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতায় কাজ করবে হারপিক ও সাজেদা ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে আগামী এক বছর স্যানিটেশন কর্মীদের পরিবার বীমা প্রিমিয়াম সহায়তা পাবে এবং তাদের পরিবারকে হাইজিন অভ্যাসে দক্ষ করার জন্য হারপিক স্বাস্থ্যবিধি সচেতনতা সেশন পরিচালনা করবে। দেশের ২৫০টিরও অধিক হাসপাতালে তারা হারপিক স্বাস্থ্যসেবা কার্ড ব্যবহার এই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি  বিশেষ করে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি উপকরণ এবং বছরজুড়ে হাইজিন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। 

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসি-এর মহাব্যবস্থাপক ভিশাল গুপ্তা বলেন, "বাংলাদেশে স্যানিটেশন কর্মীদের গুরুতর স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার চাহিদা পূরণের জন্য সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে চুক্তি করতে পেরে আমরা গর্বিত। হারপিক বিশ্বাস করে- হাইজিন ও সুস্বাস্থ্য মানুষের অধিকার ও এটি কোন বিলাসিতা নয় এবং প্রত্যেকে মানুষেরই নিরাপদ পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আমাদের সম্পদ ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাই।“ 

রেকিট বেনকিজার (বাংলাদেশ) পিএলসিএর মার্কেটিং ম্যানেজার সাবরিন মারফ তিন্নি বলেন, “হারপিক বাংলাদেশে ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা করে আসছে। এই খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অন্যদের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করা। আমরা যদি একসাথে কাজ করতে পারি তবে আমরা আরও বেশিকিছু অর্জন করতে পারবো। সাজেদা ফাউন্ডেশনের সাথে অংশীদার হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের লক্ষ্য এই সহযোগিতার মাধ্যমে অসহায় স্যানিটেশন কর্মীদের কাছে পৌঁছানো। আশা করি একত্রে আমরা আগামী দিনে চাহিদাসম্পন্ন আরও বেশি মানুষের উপকার করতে পারবো আমরা।”

সাজেদা ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা মো. ফজলুল হক বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীও ব্র্যান্ডগুলোর একটি হচ্ছে হারপিক এবং হারপিকের সাথে আমরা চুক্তিবদ্ধ হতে পেরে বেশ আনন্দিত। সাজেদা ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে সমাজ উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে বিশেষকরে স্বাস্থ্য খাতে বিশেষ ভুমিকা রেখে চলেছে। আমার বিশ্বাস এই পার্টনারশীপের মাধ্যমে আমরা সমাজের স্যানিটেশন কর্মীদের জিবনে একটি ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারবো।  

প্রসঙ্গত, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে, হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট কেয়ার ক্যাটাগরিতে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের  অবস্থান অক্ষুন্ন রেখেছে। হারপিক টয়লেট ক্লিনারের মার্কার নাম। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউরোপ, আমেরিকাসহ পৃথিবী জুড়ে এটি পাওয়া যায়। ১৯৭৮ সাল থেকে, হারপিক বাংলাদেশে টয়লেট-ক্লিনার ক্যাটগরির   এক নম্বর ব্র্যান্ড।