News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

আয় বাড়লেও তীব্র জ্বালানি সংকটে রফতানিমুখী শিল্পখাত

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যবসায় 2025-05-11, 7:15am

db7dc54195a4230cf686c37ee62ae8690e48b44968581851-2ecf4db5ff138588da20bfc53ea6ea431746926119.jpg




আয় বাড়লেও তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে দেশের রফতানিমুখী শিল্পখাত। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে এ খাতে ৩৫ শতাংশ উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার তাগিদ তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ডলার। গেল অর্থবছরে একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৬৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে এ খাতের রফতানি আয় বেড়েছে ১০ শতাংশ।

অবশ্য প্রবৃদ্ধির এমন পরিসংখ্যানেও তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে পারছেন না রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। কারণ জ্বালানি সংকটে ভুগছেন তারা।

উদ্যোক্তারা বলছেন, শুল্কযুদ্ধের অস্থিরতায় ক্রয়াদেশ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই ধীরে চল নীতিতে চলছেন মার্কিন ক্রেতারা। কারখানায় আসা ক্রয়াদেশও সময় মতো ক্রেতার ঘরে পৌঁছে দিতে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কারণ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে কমছে উৎপাদন সক্ষমতা, বাড়ছে অপচয়।

এ অবস্থায় বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রফতানিমুখী শিল্পে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকারকে পাশে চান উদ্যোক্তারা।

ইভেন্স গ্রুপের পরিচালক শাহ রাইদ চৌধুরী বলেন, ‘যেখানে গ্যাসের চাপ ১০ থেকে ১৫ পিএসআই থাকা উচিত, সেখানে গত তিন সপ্তাহ ধরে গ্যাসের চাপ একেবারে নেই বললেই চলে। ১.৫ থেকে ২ পিএসআই গ্যাসের চাপে কিছুই করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ আর গ্যাস সমস্যার কারণে ৩৫ শতাংশ উৎপাদন বন্ধ। আমাদের অপচয় বাড়ছে। এই খরচগুলো কে আমাদের রিকভার করে দেবে।’  

রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান খান বাবু বলেন, ‘ট্যারিফের যে চ্যালেঞ্জটা রয়েছে, সেটা কম-বেশি সবার। কিন্তু অভ্যন্তরীণ গ্যাসের সমস্যা সবার না। এতে ক্রয়াদেশ হাত ছাড়া হলে তা ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্ষতি যেটা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেয়া যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এমন সিদ্ধান্তহীনতা না থাকে।’  

চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম বলেন, গত মাসে রফতানি অনেক ভালো ছিল। কিন্তু চলতি মাসে কমতে শুরু করেছে। ফলে সময়মতো পণ্য হাতে পাওয়া নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকে গেছে।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘রিজার্ভের হিসাবে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতিকে টেকসই করতে প্রয়োজনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়ে কারখানার চাকা সচল রাখতে হবে।’ সময়।