News update
  • Expats must register thru mobile app to vote in BD polls     |     
  • US Faces Pressure as UN Votes on Gaza Ceasefire     |     
  • Prof Yunus includes 4 political leaders in UNGA tour del     |     
  • Tarique calls for vigilance to prevent troubles during Puja     |     
  • Parties divided on constitution order move over July Charter     |     

শ্রীলঙ্কার জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন প্রত্যাখ্যান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ব্যাঙ্কিং 2022-07-30, 7:48am




বিশ্বব্যাংক শুক্রবার বলেছে, দেউলিয়া দ্বীপ দেশটি তার বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য ‘গভীর কাঠামোগত সংস্কার’ না করলে শ্রীলঙ্কায় নতুন অর্থায়নের প্রস্তাব দেবে না।

শ্রীলঙ্কা একটি অভূতপূর্ব মন্দার সম্মুখীন হয়েছে যার ২২ মিলিয়ন মানুষ কয়েক মাস ধরে খাদ্য ও জ্বালানীর ঘাটতি এবং ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির মুখোমুখি হয় ।

দক্ষিণ এশীয় দেশটি এপ্রিলে তার ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী ঋণে খেলাপি হয়েছিল এবং এই মাসের শুরুর দিকে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালাতে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, তারা শ্রীলঙ্কার জনগণের সংকটের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন কিন্তু সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার না করা পর্যন্ত অর্থায়ন করবে না।

বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে ‘একটি পর্যাপ্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি কাঠামো না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রীলঙ্কায় নতুন অর্থায়নের পরিকল্পনা করছে না।’

এই সংকট সৃষ্টিকারী মূল কাঠামোগত কারণ গুলোকে মোকাবেলার জন্য এর গভীর কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।

বিশ্বব্যাংক বলেছে যে তারা জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধ, রান্নার গ্যাস এবং স্কুলের খাবারের জন্য বিদ্যমান ঋণ থেকে ১৬ কোটি মার্কিন ডলার সরিয়ে নিয়েছে।

শ্রীলঙ্কা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে আর্থিক সহায়তা দেয়ার আলোচনায় রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন যে প্রক্রিয়াটি কয়েক মাস সময় নিতে পারে।

দ্বীপ দেশটি এমনকি সবচেয়ে প্রয়োজনীয় আমদানির জন্য অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার ফুরিয়ে গেছে এবং দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি জনগণের ক্ষোভকে বাড়িয়ে দিয়েছে।

গাড়ি চালকরা রেশনযুক্ত পেট্রোল পেতে সারাদিন দীর্ঘ লাইনে থাকেন এবং সরকারী কর্মকর্তাদের যাতায়াত কমাতে এবং জ্বালানী সাশ্রয় করতে বাড়ি থেকে কাজ করতে বলা হয়েছে।

ইউএন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম অনুমান করেছে সংকট শ্রীলঙ্কার প্রতি ছয়টি পরিবারের মধ্যে পাঁচটি পরিবারকে নিম্নমানের খাবার কিনতে, কম খেতে বা কিছু ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে খাবার এড়িয়ে যেতে বাধ্য করেছে।

সঙ্কট আরোও ঘনিভূত হয়, যখন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ৯ জুলাই রাজাপাকসের বাসভবনে হামলা চালিয়ে প্রেসিডেন্টকে সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যেতে এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।

তার উত্তরসূরি রনিল বিক্রমাসিংহে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং ‘সমস্যা সৃষ্টিকারীদের’ বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে। গণ বিক্ষোভে নেতৃত্বাদনকারি বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তথ্য সূত্র বাসস।