News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

ভোজ্যতেলে সম্ভাব্য দূষণ কেলেঙ্কারি নিয়ে চীনে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ভোজনশালা 2024-07-11, 12:13pm

eewtwerwrq-8aacc05d0f2e5ed70f7af22d260665151720678390.jpg




চীনে যে জ্বালানি ট্যাঙ্কারে বিষাক্ত রাসায়নিক বহন করা হয়েছে, সেই ট্যাঙ্কার ঠিকঠাক পরিষ্কার না করেই তাতে ভোজ্যতেল পরিবহন করা হয়েছে - এমন এক খবর নিয়ে এই মূহুর্তে চীন উত্তাল।

দেশটির সরকার বলেছে, তারা এ অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে।

ভোজ্যতেল নিয়ে এই বিতর্ক অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা এখন সম্ভাব্য খাদ্য দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।

চীনের রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদপত্র বেইজিং নিউজ বলছে, জ্বালানি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত ট্যাঙ্কারগুলোতে ভোজ্যতেল ও সিরাপের মতো খাদ্যপণ্য পরিবহন করতে দেখা গেছে এবং সেসব ট্যাংকার ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়নি।

বেইজিং নিউজে একজন ট্যাংকার চালকের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দূষিত জ্বালানি বহনকারী ট্র্যাকগুলোতে ভোজ্যতেল পরিবহন করার রীতি এত বেশি ছিল যে, একে ‘ওপেন সিক্রেট’ হিসাবে বিবেচনা করা হতো।

সাম্প্রতিক সময়ে তেল নিয়ে এই বিতর্ক চীনা সোশ্যাল মিডিয়ার শীর্ষ ট্রেন্ডিং-এ উঠে এসেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) মতো ওয়েইবো হল চীনের একটি মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।

দেশটিতে চলমান এই তেল কেলেঙ্কারি নিয়ে ওয়েইবো-তে কয়েক হাজার পোস্ট করা হয়েছে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেছে। "খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়," এই মন্তব্যে আট হাজারের বেশি লাইক পড়েছে।

অন্য একটি মন্তব্যে বলা হয়েছে, "একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই এক বিস্ময়কর বিষয়।”

অনেকে এটিকে ২০০৮ সালের সানলু গুঁড়াদুধ কেলেঙ্কারির সাথে তুলনা করেন। শিল্প কারখানার উচ্চ মাত্রার রাসায়নিক মেলামাইন মিশ্রিত ওই দূষিত গুঁড়াদুধ পান করার কারণে প্রায় তিন লাখ শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং কমপক্ষে ছয়জন মারা যায়।

"এটি সানলু কেলেঙ্কারির চেয়েও অনেক খারাপ। কেবলমাত্র বিবৃতি দিয়ে এটির নিষ্পত্তি করা যায় না," একজন ওয়েইবো ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন৷

চীনে ট্যাঙ্কারে পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট পণ্যের তালিকা নেই, অর্থাৎ কেবলমাত্র নির্দিষ্ট একটি বা দুইটি পণ্য পরিবহন করা যাবে, তেমন কোনও নিয়ম নেই।

সে দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে, কয়লাভিত্তিক তেল পরিবহনের পর পরই ওই ট্যাঙ্কারে সরাসরি খাদ্য পরিবহন করতে বাধা নেই।

এখন এই বিতর্ক শুরুর পর বলা হচ্ছে, চীনের একাধিক বড় বড় কোম্পানিও এই বিষয়ের সাথে জড়িত।

যেমন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিনোগ্রেইনের একটি সহায়ক সংস্থা এবং হোপফুল গ্রেইন অ্যান্ড অয়েল গ্রুপ।

এদিকে, সিনোগ্রেইন বলেছে যে খাদ্য নিরাপত্তা বিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা, তারা সেটির তদন্ত করছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে যে যেসব ট্রাক নিয়ম ভেঙ্গেছে, সেগুলোকে অবিলম্বে সাসপেন্ড অর্থাৎ নিয়মিত কাজ থেকে বিরত করা হবে।

এছাড়া হোপফুল গ্রেইনের একজন প্রতিনিধি সরকার-নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমসকে বলেছে যে তারা নিজেরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

চীনা সরকার বলেছে যে দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এই অভিযোগের তদন্ত করবেন।

অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত যেকোনও কোম্পানি ও ব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তারা মানুষজনকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছেন এই বলে যে, যে তারা তাদের তদন্তের ফলাফল অবিলম্বে প্রকাশ করবে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি বলেছে, “এই ঘটনার সাথে জড়িত অবৈধ উদ্যোগ ও ব্যক্তিদেরকে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে এবং সহ্য করা হবে না।”

স্থানীয় পর্যায়েরও যেমন— হেবেই এবং তিয়ানজিন উভয় প্রাদেশিক সরকার বলেছে যে তারাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে চীনা সরকারের ক্ষমতার ওপর জনগণের আস্থায় সর্বশেষ আঘাত এটি। বিবিসি বাংলা