News update
  • Pro-Palestinian US campus protests grow as police crack down     |     
  • Mass-awareness needed to prevent heat-related illness     |     
  • New Delhi to closely watch China-BD joint military training     |     
  • US-China talks start: Caution about Misunderstandings, miscalculations     |     
  • Syria crisis intensifies in shadow of Gaza war     |     

নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা ও রাজনৈতিক দলে নারী সদস্য প্রসঙ্গ

মতামত 2021-08-18, 2:20pm

man-woman-ae58276a827ca4b0dce7ae8ef6fb6b801629274857.png

MAN & WOMAN. Creative Commons.



-আতিকুল ইসলাম

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করা ছিলো যৌক্তিক। কারণ, প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে শিকড়বিহীন ভাসমান কিছু স্বঘোষিত নেতা একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে প্রতীকের জন্য আবেদন করতেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ রাখা প্রতীকের সংখ্যার চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশী হতো বলে নির্বাচন কমিশন ২০০৮ সালে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করে নিবন্ধনের জন্য তিনটি শর্ত আরোপ করে। প্রথম শর্তটি হলো: বাংলাদেশের যে কোনো একটি সংসদে যে রাজনৈতিক দলের অন্তত: একজন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন সেই দলটি নিবন্ধন পাবে। বাংলাদেশ সংসদে নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে ১১টি দল নিবন্ধন লাভ করে।

নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে মুসলিম লীগ ও আওয়ামী লীগের সংসদে আসন পাওয়ার ইতিহাস দীর্ঘ ও গৌরবোজ্জল। বৃটিশ শাসিত অখন্ড বাংলার বঙ্গীয় সংসদে ১৯২৯ ও ১৯৩৭ সালে বিরোধী দলে, ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে সরকারী দলে এবং ভারত বিভক্তির পর ১৯৫৪ সালের পূর্ব বঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে বিরোধী দলে, ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে মুসলিম লীগ নির্বাচিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৯ সালের সংসদে হারিকেন প্রতীকে ১৯টি এবং ১৯৮৬ সালের সংসদে একই প্রতীকে ৪টি আসনে বিজয়ী হয়ে মুসলিম লীগ অলঙ্ঘনীয় এক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অধিকারী হয়। দ্বিতীয় ঐতিহ্যের অধিকারী আওয়ামী লীগ ১৯৫৪ সালের পূর্ব বঙ্গ প্রাদেশিক পরিষদে যুক্ত ফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে সরকারী দলে (১৯৫৫ সালে দল থেকে মুসলিম শব্দটি বর্জন করার পর), ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টি কপ-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে বিরোধী দলে এবং ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অনুষ্ঠিত দু’টি বাদে (তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনসহ) ৮টি সংসদে আওয়ামী লীগ সরকারী অথবা বিরোধী দলে অধিষ্ঠিত হয়। মুসলিম লীগ বৃটিশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংসদে এবং আওয়ামী লীগ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংসদগুলোতে নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করে যা অন্য কোনো দলের পক্ষে অর্জন করা আর সম্ভব নয়।

স্বাধীনতার পর পরই ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমাণ করার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থাপনা, সংস্থা (ইসলামিক একাডেমী ব্যতীত), শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস ইত্যাদি থেকে ইসলাম ও মুসলিম শব্দটি মুছে ফেলা হয়। মুসলিম শব্দটির জন্য মুসলিম লীগকে এবং ইসলাম শব্দ যুক্ত থাকা সকল দলকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর সক্রিয় থাকা অন্যান্য দলের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী গঠন করেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল)। ১৯৭৫ সালের ৩রা অক্টোবর প্রদত্ত বেতার ভাষণে বাকশাল নেতা রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯৭৬ সালের ১৫ আগস্ট থেকে এক দলের পরিবর্তে বহু দলের রাজনীতি পুন: প্রবর্তনসহ ১৯৭৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরই আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ করা মুসলিম লীগ দলটি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক সংসদ নেতা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী খান এ সবুরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নামে পুনর্গঠিত হয় ১৯৭৬ সালের ৮ আগস্ট। খান-এ সবুর পুনর্গঠিত বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মুসলিম লীগ প্রতিবছর ৮ আগস্ট পালন করে। আর বাকশাল নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বিলুপ্ত করার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত হয় ১৯৭৬ সালের ২২ আগস্ট। পুনরুজ্জীবিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন মহিউদ্দিন আহমদ। বিভিন্ন দিবস পালন করলেও আওয়ামী লীগ ২২ আগস্ট পালন করে না। বিচারপতি আবু সাদত মুহাম্মদ সায়েম রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ১৯৭৬ সালের মধ্যেই ইসলাম শব্দযুক্ত (জামায়াতে ইসলামী ব্যতীত) দলগুলোসহ ১৯৭৫ সালে বাতিল করা অন্য সকল রাজনৈতিক দল পুনর্গঠিত হয়ে বিভিন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়।

বাংলাদেশের সংসদে একজন প্রার্থীও নির্বাচন হতে পারেননি এমন দলকে নিবন্ধন পেতে হলে নির্বাচন কমিশনের দ্বিতীয় শর্তটি হলা: যে কোনো একটি সংসদ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়ার তথ্য থাকতে হবে আবেদনকারী দলকে। তৃতীয় শর্তটি হলো: অন্তত: ১০টি জিলায় এবং ৫০টি উপজেলায় আবেদনকারী দলের কমিটি ও দলীয় দপ্তর থাকতে হবে। নথিতে প্রমাণ থাকায় প্রথম ও দ্বিতীয় শর্ত মোতাবেক প্রদত্ত নিবন্ধন নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু তিন নম্বর শর্তে যে সকল রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশকেই দেয়া হয়েছে অনৈতিক পথে দুই নম্বরী পন্থায়। নিবন্ধন প্রাপ্ত বেশ কিছু দলের ১০টি জিলা ও ৫০টি উপজিলার অধিকাংশ গুলোতেই দলীয় কমিটি বা দপ্তর থাকার তথ্য পায়নি স্থানীয় সাংবাদিকরা। তাছাড়া কোনো কোনো দলের জিলা দপ্তরের সাইনবোর্ড লন্ড্রির দোকানে এবং চুল কাটার সেলুনে ঝুলছে-মফস্বল থেকে প্রেরিত এমন সচিত্র সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় সে সময় প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা গণ সমর্থনহীন এবং জনসংশ্লিষ্টতা বর্জিত পকেট রাজনৈতিক দল গঠনের অসুস্থ প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করার যৌক্তিক প্রয়োজনেই ঘোষিত নীতিমালার আলোকে ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন ৩৯টি দলকে নিবন্ধিত করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে যাতে নির্বাচনের সময় দলটি নির্দিষ্ট করে দেয়া প্রতীকটি ব্যবহার করতে পারে। নিবন্ধিত দলের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নেয়া এবং নারী সদস্য অন্তর্ভূক্ত করার জন্য নোটিশ প্রদান করে পুন: পুন: তাগাদা দেয়ার মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের তৎপরতা ও দায়িত্ব সীমাবদ্ধ। অথচ দাখিল করা স্ব স্ব দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নিবন্ধিত দলগুলো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে কিনা, দলের দপ্তর আছে কিনা অথবা পূর্ব ঘোষিত কাউন্সিলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটি যথাযথভাবে গঠিত হয়েছে কিনা-এই সকল প্রয়োজনীয় বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো তদারকি নেই। বিষয়টিকে অভিজ্ঞরা নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা বলেই মনে করেন। তাছাড়া নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো: দলীয় প্রতীক বর্জন করে অন্য দলের প্রতীকে যে দল নির্বাচন করেছে, সংশ্লিষ্ট সেই দলের নিবন্ধন থাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির সুষ্পস্ট কোনো মীমাংসা আজো করেনি নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে অভিজ্ঞজনদের মত হলো, বরাদ্দ নেয়া পছন্দের প্রতীক বর্জন করে যে দল অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে, সেই দল তো নিজেদের নিবন্ধনকে নিজেরাই প্রত্যাখান করেছে। ফলে এমন দলের নিবন্ধন খারিজ করা যুক্তিসঙ্গত। ২০১৭ সালের ২রা অক্টোবর অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক সংলাপে মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দের লিখিতভাবে দেয়া দলীয় প্রতীক ব্যবহার সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রস্তাবটি নির্বাচন কমিশনারগণের কাছে পেশ করলেও তা কমিশনের হিমাগারে আছে। নিবন্ধিত দলের সকল স্তরের কমিটিতে অন্তত: ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য থাকতে হবে বলে নির্বাচন কমিশন এ অবাস্তব শর্তটি আরোপ করে রেখেছেন। এই শর্তটির ব্যাপারে শুরু থেকে যুক্তিসঙ্গত ভাবে আপত্তি জানাচ্ছে সকল দল। আইন করে কোনো ব্যক্তি বা দলকে সক্রিয় রাজনীতি থেকে সাময়িকভাবে বিরত রাখা গেলেও তদ্রুপ আইন করে কাউকে রাজনীতিতে সক্রিয় করা যায়না। রাজনীতি পার্টটাইম নয়, ফুলটাইম। এজন্য পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের বল্গাহীন মুক্ত জীবনের কর্মজীবি সাধারণ নারীরা রাজনীতিতে সক্রিয় হন না।  বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যোগ্যতা সম্পন্ন লক্ষ লক্ষ নারী সম্মানজনক বিভিন্ন পেশায় আন্তরিকভাবে কর্মরত থাকলেও তাদের মধ্যে অধিকাংশই জাতীয় বা স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হতে আন্তরিক নন। অথচ ১৯৯১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩০টি বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর ও বিরোধী দলের কুরসি দুটো নারীর দখলে। তারপরও নারী শাসিত ও নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশের সাধারণ নারীরা বিভিন্ন দলের নীরব সমর্থক বা ভোটার হলেও দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হতে আগ্রহী হন না। মাঠ পর্যায়ে এর কারণ অনুসন্ধান করে মুসলিম লীগ তিনটি তথ্য পেয়েছে। প্রথমটি হলো: প্রতিটি ক্ষমতাসীন দলের কিছু কিছু নেত্রীর ও সদস্যার অনৈতিক জীবনাচার, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকাসহ সমাজ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে প্রচারিত হবার পর নারীদের অন্তরে রাজনীতির ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়ে আছে। দ্বিতীয়টি হলো: নারীদের সঙ্গে তার দলের কোনো কোনো মর্যাদাহীন নেতা বা কর্মীর অশোভন ব্যবহার অথবা আপত্তিকর আচরণের মুখরোচক ঘটনাগুলো লোকমুখে জানাজানি হবার কারণে ইচ্ছুক নারীরা পরিবার থেকে সমর্থন পান না। তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি হলো: মুষ্টিমেয় যে কয়জন কলঙ্কমুক্ত নারী নৈতিকতা ধারণ করে সততার সঙ্গে মর্যাদা নিয়ে দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে আছেন, রাজনীতির নামে উল্লেখিত দুটো ভ্রষ্টতার কারণে আমাদের রক্ষণশীল নারী সমাজ নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তাঁদেরকে সম্মানের চোখে দেখতে নারাজ। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর রক্ষণশীল মানসিকতার কারণে মুসলিম নারীরা রাজনীতিতে আগ্রহী হননি বলেই ১৫ বছর পর ১৯৬২ সালে মুসলিম লীগ সরকার প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করে। একই কারণে ও পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্ব করতে বাংলাদেশ সংসদে নারীদের জন্য বর্তমানে ৫০টি আসন সংরক্ষিত আছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যতীত অপর কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংসদে অনির্বাচিত নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত আছে বলে আমার জানা নেই।

বাংলাদেশে নারী ভোটার তেত্রিশ শতাংশ নয়, পঞ্চাশ শতাংশ। কোনো প্রার্থীকে বিজয়ী হতে হলে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ৫০ শতাংশ নারী ভোট গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নির্বাচনমুখি প্রতিটি দল স্বপ্রণোদিত হয়ে নারীদের স্ব স্ব দলে অন্তর্ভুক্ত করে তাদেরকে সক্রিয় করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আশানুরূপ অনুকুল সাড়া পাচ্ছে না বলেই সকল দল আপত্তি জানাচ্ছে। তাছাড়া বিগত দুই দশক ধরে রাজনীতির নামে বিদ্বেষ সর্বস্ব ক্রিয়াকলাপের কারণে দল নিরপেক্ষ পুরুষরাই যেখানে জাতীয় রাজনীতির ব্যাপারে বিতশ্রদ্ধ হয়ে আছেন সেখানে নারী সমাজের সচেতন মনোভাব সহজেই অনুমেয়। রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া বা না হওয়া ব্যক্তি বিশেষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এই মৌলিক অধিকারকে লঙ্ঘণ করে অনিচ্ছুক বা অসম্মত কাউকে জোর করে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় করা যে বাস্তবে সম্ভব নয়, গণবিচ্ছিন্ন থাকার কারণে তর্কাতীত এই বাস্তবতা নির্বাচন কমিশন উপলব্ধি করতে পারছে না। এমতাবস্থায় চলমান সামাজিক ও পারিবারিক পরিস্থিতি অনুধাবন করাসহ অধিকাংশ নারীর অনীহার মনস্তাত্বিক কারণ সমূহের প্রতি নজর দিয়ে তেত্রিশ শতাংশ নারী সদস্য রাখার শর্তটি খারিজ করলে তা হবে সকল দল ও নারীর জন্য স্বস্তিদায়ক এবং বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত।

লেখক : সদস্য, স্থায়ী কমিটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ - ০১৭৯৬-৪৪৭৬০০