News update
  • UNRWA Report no. 104 on situation in Gaza Strip & West Bank     |     
  • UN closes case on alleged staff collusion in 7 Oct attacks     |     
  • BNP expels 3 more leaders for contesting first phase of UZ polls     |     
  • “Voting centres where fake votes are cast will be shut immediately”      |     
  • Three dead in Israeli strikes on south Lebanon: report     |     

একসময় ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের শবে বরাত আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাজেট বরাদ্দ ছিল

মতামত 2024-03-23, 11:52pm

dhaka-university-monogram-copy-6b916d667059821f7478c4d8ed9b19781711216334.jpg

Dhaka University monogram .



Khwaza Mueen Chishty posted:

এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় শবে বরাতের আয়োজন হতো। ভালো খাবারের আয়োজন হতো, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন হতো। ছাত্র শিক্ষক সবাই সেই মাহফিলে অংশগ্রহণ করতো। এসব কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাজেট দিতো। 

ড. আসাদুল্লাহ গালিব স্যারের একটা বক্তব্যে শুনেছিলাম উনি নাকি সেই আয়োজন বন্ধে জোরালো ভুমিকা রেখেছিলেন। উনি সফল হয়েছেন,  সেই আয়োজন বন্ধও হয়েছে।  হয়তো অনেকে জানবেও না ঢাবিতে একটা সময়ে এরকম আয়োজন হতো। বেশ ভালো, একটা বিদআত তো বন্ধ হলো। 

এখন নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রমজানের সব প্রোগ্রাম বন্ধে নোটিশ দিয়েছে। দিক। সমস্যা নেই। রমজানে রোজা রাখা ফরজ৷ সেহরী করা সুন্নত।  এছাড়া বাদ বাকি আয়োজন কী? ফরজও না, সুন্নতও না৷ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এই নোটিশে আমার কোনো দুঃখ নেই। আমার দুঃখ থাকলে সেই বিদআত শবে বরাতের জন্যই আছে৷ এই বিদআত চালু থাকলে আজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজকের এই নোটিশ দেয়ার সুযোগ পেতো না। এই বিদআত চালু থাকলে ১৫ দিন আগে থেকেই রমজানের আয়োজন শুরু হতো। 

সংস্কৃতি গতিশীল।  পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তন সেই সংস্কৃতিকে ধারণ করা মানুষদের উপর নির্ভর করে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা সময়ের সংস্কৃতি ছিলো শবেবরাত এর হালুয়া রুটি, এখন বৈশাখের পান্তা। কারণ ড. গালিব স্যার চেয়েছিলেন হালুয়া রুটি বন্ধ হোক, আর চারুকলা চেয়েছিলো হুতুমপেঁচা আর পান্তা চালু হোক। সংস্কৃতি এমনই, একটা চলে গেলে সেই যায়গা আরেকটা দখল করে নেয়।  আপনিই চিন্তা করুন এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সংস্কৃতি কেমন হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নোটিশ দিয়ে রমজানের আয়োজন বন্ধ করা, কুরআন তেলাওয়াত প্রোগ্রাম করায় বিভাগীয় সভাপতিকে ডীনের নোটিশ দেয়া সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতারসহ ইসলামিক আয়োজন বন্ধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।