News update
  • Guterres Urges Fair, Fast, Final Shift to Clean Energy     |     
  • US Shutdown Triggers Over 1,000 Flight Cancellations     |     
  • World leaders meet in Brazil to tackle global warming     |     
  • Brazil Launches Fund to Protect Forests and Fight Climate Change     |     
  • UN Warns Conflicts Are Devastating Ecosystems Worldwide     |     

গর্ভপাত বিষয়ে ঐতিহাসিক রায় পরিবর্তন করল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মানবাধিকার 2022-06-25, 9:13am




গর্ভপাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা প্রায় অর্ধশতাব্দী পুরনো এক রায়কে উল্টে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। অনেকেই আগেই এমন এক পদক্ষেপের ব্যাপারে অনুমান করেছিলেন। এর ফলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া বা না দেওয়ার বিষয়টি অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারে চলে গেল।

শুক্রবার আদালতের রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়। এর মাত্র দুই মাসেরও কম সময় আগে, এমন সিদ্ধান্তের খসড়া এক সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইটে ফাঁস হয়েছিল। এর ফলে গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষের সক্রিয়বাদীরা সারা দেশব্যাপী প্রতিবাদ আরম্ভ করেছিলেন।

১৯৭৩ সালের রো বনাম ওয়েড নামের এক মামলা এবং প্ল্যান্ড প্যারেন্টহুড বনাম কেসি নামের পৃথক আরেকটি মামলার রায় উল্টে দেয় আদালত। যদিও এর ফলে গর্ভপাতের উপর সরাসরি কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি, তবুও প্রায় অবিলম্বেই সারা দেশব্যাপী এর আইনী প্রভাব পড়বে।

গুটমাখের ইন্সটিটিউট নামক, ব্যক্তিগত অভিমতের পক্ষাবলম্বী এক গবেষণা সংস্থার অনুমান বলছে যে, রো বনাম ওয়েড এর রায় প্রত্যাহার করায় এখন মূলত দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের ২৬টি অঙ্গরাজ্য গর্ভপাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ নারী বাধ্য হবে গর্ভপাত করাতে এমন কোন অঙ্গরাজ্যে সফর করতে, যেখানে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষা করা হয়েছে।

মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের এক আইন বিষয়ে করা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় দিল। ঐ আইনে গর্ভধারণের ১৫তম সপ্তাহের পর থেকে সকল গর্ভপাতকে নিষিদ্ধ করা হয়। এই সময়সীমাটি রো বনাম ওয়েড এর রায়ের আওতায় দেওয়া সময়সীমার থেকে কয়েক সপ্তাহ কম।

মিসিসিপির একমাত্র গর্ভপাত ক্লিনিক, জ্যাকসন উইমেন’স হেলথ অর্গানাইজেশন ২০১৮ সালের এই আইনকে ফেডারেল আদালতে চ্যালেঞ্জ করে। তারা যুক্তি দেয় যে, এমন আইনের ফলে সুপ্রিম কোর্টের প্রায় ৫০ বছরের নজির ভঙ্গ হবে।

এর আগে দুই নিম্নতর আদালত ক্লিনিকটির পক্ষে রায় দেয়। তারপরই, আরও ২৫টি রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্যের সমর্থন নিয়ে মিসিসিপি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা বিচারকদের কাছে রো এবং কেসি, উভয় মামলার রায় পাল্টে ফেলার আবেদন জানায়। তাদের আবেদনে তারা দাবি করে যে, সংবিধানে “কোন কিছুই্ এমন নেই” যা কিনা “গর্ভপাতের অধিকার সমর্থন করে”।

হাইকোর্টের ছয় বিচারপতি তাতে সম্মত হন। তারা সকলেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের মনোনীত ছিলেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের দেওয়া মতামতটিতে, রক্ষণশীল বিচারপতি স্যামুয়েল আলিটো লেখেন, “সংবিধানে গর্ভপাতের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি, এবং এমন কোন অধিকার সাংবিধানিক বিধান দ্বারা অন্তর্নিহিতরূপে সুরক্ষিত না, যার মধ্যে ... ১৪তম সংশোধনীর যথাযথ প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।”

১৪তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে, কোন অঙ্গরাজ্যই “যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া ব্যতীত কোন মানুষকে জীবন, স্বাধীনতা, বা সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না”।

সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, সংবিধানে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই এমন অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট এই সংশোধনীটি ব্যবহার করেছে, যেমন সমলিঙ্গ বিবাহের অধিকার। তবে, আলিটো যুক্তি দেখান যে, “এমন যে কোন অধিকারের অবশ্যই ‘এই দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে গভীর ভিত্তি থাকতে হবে’”।

ফাঁস হয়ে যাওয়া ঐ খসড়ায় তিনি লেখেন, “গর্ভপাতের অধিকার এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে না।”

মতামতটিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে অঙ্গরাজ্যগুলোর উচিৎ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, যে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা।

অপরদিকে আদালতের তিনজন উদারপন্থী বিচারক এবং রক্ষণশীল প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।