মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার ঘোষণা করেছে যে তারা একটি ব্যাপক ক্ষমার আওতায় প্রায় ৬ হাজার বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে।
মিয়ানমার জান্তার মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন ভয়েস অফ আমেরিকা বার্মিজ বিভাগকে শিল্পী, কর্মী, একজন মন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চি সরকারের একজন মন্ত্রী প্রধানের পাশাপাশি ৪ বিদেশীর মুক্তির কথা নিশ্চিত করেছেন।
বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে-র নির্বাহী পরিচালক মার্ক ফারমানার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মুক্তি সত্ত্বেও এখনো হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দি আটক রয়েছে।
বন্দি মুক্তির বিষয়টি এশিয়াতে ব্যাপক কূটনীতির এই সপ্তাহে সামনে আসে। এ সময় বিশ্ব নেতারা নম পেনে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন, বালিতে জি-২০ বৈঠক এবং ব্যাংককে এপেক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য মিলিত হচ্ছেন। মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের উচ্চ পর্যায়ের সমাবেশ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আসিয়ান নেতারা তাদের বৈঠক শেষে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন যে, তারা ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলনে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব পর্যালোচনা করার বিষয় বিবেচনা করবেন।
ফারমানার বলেছেন, এই বৈঠকগুলো, বিশেষ করে আসিয়ানের প্রভাব থাকতে পারে। তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনী আসিয়ান একটি শক্তিশালী অবস্থান নেবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত।
মিয়ানমার জান্তার একজন মুখপাত্রের মতে, মোট ৫ হাজার ৭শ ৭৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৭ শ ১২ জনকে রাজনৈতিক বন্দি বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এএপিপি অনুসারে, মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ১৫ জনকে গ্রেপ্তার এবং আটক করা হয়েছিল এবং ১ হাজার ৬শ ৪৮ জনকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।