News update
  • Guterres Slams Use of Hunger as Weapon in Gaza, Sudan Wars     |     
  • Cumilla City’s Tk 2cr CCTV cameras fall blind     |     
  • Abu Sayeed murder: Charge-framing hearing Sunday     |     
  • Milestone tragedy: Death toll reaches 34     |     
  • Sudan's rival forces declare parallel govt, deepening crisis     |     

পাকিস্তানে কেএফসি-বিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, গুলিতে নিহত ১

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক মিডিয়া 2025-04-19, 1:39pm

5656456435-7453633d51c72532ba12fc8784d3c79c1745048371.jpg




করাচিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফাস্ট ফুড চেইন শপ কেএফসির আউটলেটগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ছবি : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও থেকে নেওয়া

পাকিস্তানে কেএফসির শাখাগুলোকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিক্ষোভ হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির।

গাজা যুদ্ধে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা কেএফসি বয়কটের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। তারা দাবি করছেন, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের প্রতীক।

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, গত সপ্তাহে দেশজুড়ে কেএফসির শাখাগুলোতে কমপক্ষে ২০টি হামলার চেষ্টা রেকর্ড করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, লোহার রড হাতে নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা কেএফসির দোকানে প্রবেশ করছে এবং দোকানগুলোকে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। করাচিতে কেএফসির দুটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অপর এক ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি চিৎকার করে বলছেন, ‘তোমার উপার্জনের টাকা দিয়ে ওরা বুলেট কিনছে।’

সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী বলেন, কেএফসির দোকানগুলোর বেশিরভাগ মালিকই পাকিস্তানি এবং লাভ পাকিস্তানিদের কাছেই যায়।

একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসি নিউজকে নিশ্চিত করেন, নিহত ব্যক্তি হলেন ৪৫ বছর বয়সী আসিফ নওয়াজ। তিনি কেএফসির একজন কর্মী ছিলেন। তিনি ১৪ এপ্রিল লাহোরের উপকণ্ঠে শেখুপুরা শহরে বিক্ষোভের সময় গুলিবিদ্ধ হন।

শেখুপুরা আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা আতহার ইসমাইল বলেন, নওয়াজ ওই সময় দোকানে কাজ করছিলেন এবং ১০০ ফুটেরও বেশি দূর থেকে পিস্তল দিয়ে ছোড়া গুলি তার কাঁধে লাগে। তিনি বিবিসি নিউজকে বলেন, মূল অপরাধী এখনও পলাতক, তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এত দূর থেকে ছোড়া গুলি সাধারণত প্রাণঘাতী হয় না, তবে ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, তার কাঁধে কেউ আঘাত করার পর গুলিটি পরে বুকের দিকে চলে গেছে।

পুলিশ কর্মকর্তা ইসমাইল বলেন, নওয়াজকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লক্ষ্যবস্তু করার এখনও পর্যন্ত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গুলি চালানোর পর সেটি দুর্ঘটনাক্রমে তার গায়ে লাগতে পারে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গাজা যুদ্ধের নিন্দা করেছেন। ইসলামপন্থি দল তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। তবে তারা কেএফসিতে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামিক ব্যক্তিত্ব মুফতি তাকি উসমানি গাজা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত সব পণ্য বর্জনে উৎসাহিত করেছেন। তবে উভয়ই বিক্ষোভকারীদের সহিংসতা এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জাতীয় ফিলিস্তিন সম্মেলনে তাকি উসমানি বলেন, যদিও ইসরায়েলের পণ্য ও কোম্পানি বর্জন করা অপরিহার্য, তবে ইসলামে অন্যদের ক্ষতি করা এবং পাথর নিক্ষেপ বা কারও জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা নিষিদ্ধ। তাই, আপনারা প্রতিবাদ ও বয়কট চালিয়ে যান, কিন্তু শান্তিপূর্ণভাবে করুন। সহিংসতা বা অশান্তিপূর্ণ আচরণে জড়ানো উচিত নয়।

টিএলপির মুখপাত্র রেহান মহসিন খান বলেন, দলটি ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের জন্য মুসলিমদের আহ্বান জানিয়েছে, কিন্তু কেএফসির বাইরে প্রতিবাদের ডাক দেয়নি।

কেএফসি এবং এর মূল কোম্পানি ইয়াম ব্র্যান্ডস এখনও এসব বিষয়ে বিবিসির মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ও অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো আক্রমণ, বয়কট এবং বিক্ষোভের মুখোমুখি হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

গত বছর ম্যাকডোনাল্ডস নিশ্চিত করেছে, তারা তাদের সমস্ত ইসরায়েলি রেস্তোরাঁ আবার নিয়ে নেবে, কারণ দেশটির প্রতি সমর্থনের কারণে ডাকা বয়কটে তাদের বিক্রিতে মন্দা দেখা দিয়েছে।

২০২৩ সালে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত একের পর এক বিক্ষোভ ও বয়কট আন্দোলনের মুখে স্টারবাকস শান্তির আহ্বান জানিয়েছে এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে।