News update
  • CA urges united efforts to stop food contamination voicing concern     |     
  • Tarique obliquely slams Jamaat for ‘propaganda’ against BNP echoing AL     |     
  • Medical team hopeful about Khaleda’s recovery in Bangladesh     |     
  • Beanibazar green cover shrinks, migratory birds disappear     |     
  • অতিথি পাখির বিচরণ আর দুষ্টুমিতে নান্দনিক হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার চর বিজয়      |     

আজ প্রত্যুসে শেষ হয়েছে সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা

মৎস 2024-11-02, 11:51pm

fishermen-were-preparing-to-sail-to-tje-bay-on-saturday-afternoon-936204b66df1c17fd259f1e92d2f13d01730569913.jpg

Fishermen were preparing to sail to tje Bay on Saturday afternoon.



পটুয়াখালী: কেউ মাছ ধরা ট্রলার মেরামত করছে, কেউ ট্রলারে আলকাতরা দিচ্ছে, কেউ ট্রলার ধোয়া মোছার কাজ করছে, কেউ কেউ আবার জাল বুনছে, কতেক জন জেলে আবার ট্রলারে জালসহ আনুসঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছেন। এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন কলাপাড়া উপকূলের জেলেরা।

আজ রবিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই শেষ সময়ে সমুদ্র যাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। জেলেসহ মৎস্য সংশ্লিষ্টদের আশা এবার তাদের জালে ধরা পড়বে কাংখিত ইলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে সরকারী প্রনোদনার চাল এখনো প্রকৃত জেলেরা পায়নি বলে দাবি তাদের। এছাড়া মৌসুম জুড়ে কাংখিত ইলিশ ধরা না পড়ায় ২২ দিনে কর্মহীন অনেক জেলে হয়ে পড়েছেন ধার দেনায় জর্জরিত ।

ইলিশের বাঁধাহীন প্রজননের জন্য ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এসময় সামুদ্রিক মাছ আহরন, পরিবহন, বিপনন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ছিলো। ২২ দিনের অবরোধ সফল করতে তৎপর ছিলো মৎস্য বিভাগ সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সাগর ও নদীতে অভিযান চালিয়ে অনেক জেলেকে জরিমানা ও কারাদন্ড দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। তাই সাগরে গিয়ে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ বলে দাবি মৎস্য সংশ্লিষ্টদের।

উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার জেলে আলী মিয়া বলেন, অবরোধ মেনে আমরা এই ২২ দিন কর্মহীন সময় পার করেছি। এই নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের মাত্র ২৫ কেজি চাল দেয়া হয়েছে। পরিবারের ৫ জন্য সদস্য, এই চাল দিয়ে কিছুই হয়নি। তাই এই ২২ দিনে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার মতো দেনায় পড়েছি। তবে সাগরে কাংখিত মাছ পেলে পেলে আশা করছি পিছনের ধার দেনা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

মহিপুরের জেলে ইয়াসিন হোসেন বলেন, আমি ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত জেলে কাজ করি। কিন্তু সরকারী প্রনোদনার তালিকায় আমার নাম নেই। যারা অন্য পেশায় জড়িত দেখেছি তারা সরকারী চাল পেয়েছে। তাই প্রনোদনার তালিকায় প্রকৃত জেলেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।  

রবিবার মধ্যেরাত থেকে আমরা গভীর সাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবো। তাই ট্রলারে জাল ও বরফ সহ অনুষঙ্গিক সরঞ্জাম তুলছি। গতকাল আমাদের ট্রলারের রং করার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান জেলে ইয়াসিন।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে জেলেরা মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যাত্রা করবে। কলাপাড়ার নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৭ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারী প্রনোদনার চাল দেয়া হয়েছে। অবরোধ শতভাগ সফল করতে সাগর ও নদীতে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করেছেন। আমরা আশা করছি জেলেরা প্রুচর পরিমানে ইলিশ পাবে। তাদের ধার দেনা সহ পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবে। - গোফরান পলাশ