Fire image. Pixabay.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাতের আঁধারে দুইটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যবসায়ী জামাল মৃধা ও শামিম রাঁড়ি'র দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কলাপট্রি খেয়া ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী জলিল মৃধা বলেন, গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়াদিতে বাইরে বের হয়ে তিনি আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। তার ডাক চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। তারপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে দুই দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, দোকানের মধ্যে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়লে সার্টার খোলা সম্ভব হয়নি। তাই কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাবসায়ী জামাল বলেন, তার দোকানে টিভি, ফ্রিজ ও অন্যান্য মালামাল সহ আনুমানিক ৬/৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপর ব্যাসায়ী শামিম রাঁড়ি বলেন, তার দোকানেও টিভি, ফ্রিজ সহ ৪/৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই তারা ঘুরে দাঁড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতা চেয়েছেন।
তারা আরও বলেন, কে বা কাহারা শত্রুতা মুলক আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করবেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার ইলিয়াস হোসাইন বলেন,স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। ধারণা করছেন বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি কোন ধারণা দিতে পারেননি। সেটি তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নিতে ঘটনাস্থলে যান সাবেক চেয়ারম্যান ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান শহীদ মাতব্বর। তিনি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেই সাথে উপজেলা প্রশাসন ও বিত্তশালীদের এগিয়ে এসার আহ্বান জানিয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বসায়ীরা আবেদন করলে সরকারি ভাবে তাদের যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব তিনি করবেন। - গোফরান পলাশ