Hilsa netting ban for 22 days will begin from October 4 midnight all along the Bay.
পটুয়াখালী: আজ মধ্যরাত (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হচ্ছে সাগর ও নদীতে ইলিশ সহ সব ধরনের মাছধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এসময় মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাত করন সহ ক্রয় বিক্রয় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র।
এ অবরোধের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমুদ্র উপকূল জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে। তাই শুক্রবার সকাল থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস বন্দরের শিববাড়িয়া নদীতে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে কাংখিত মাছ ধরা পড়ায় তারা অনেকটা উচ্ছ্বসিত থাকলেও এ অবরোধ তাদের উচ্ছ্বাস ম্লান করে দিয়েছে। তারা সরকার কর্তৃক প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেদের আগ্রাসন বন্ধে সমুদ্রে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
জেলে আলি মাঝি (৪৫) বলেন, 'সরকার আমাদের যে চাউল দেয় তা পরিমানে কম। আরও বাড়ানো উচিত। চাল সঠিকভাবে জেলেদের মাঝে বন্টন হয়না, যাও বন্টন হয় তাও আবার সঠিক সময়ে বন্টন হয়না।'
ট্রলার মাঝি মো. জামাল বলেন,আমাদের দেশে যখন সাগরে মাছধরা বন্ধ, তখন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত আমাদের সাগর এরিয়ায় ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। যদিও দুই একটা ধরা পড়ে, তাও আবার তাদেরকে জামাই আদরে ভারতে দিয়ে আসে। আর আমাদের দেশের বহু জেলে ভারতের জেলে বছরের পর বছর ধরে আছে। সাগরে আমাদের দেশের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের টহল আরো বাড়ানো উচিত।'
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, 'আজ শুক্রবার মধ্যরাত (৪ অক্টোবর) থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই ২২ দিন সাগরে সকল প্রকারের মাছধরা সম্পুর্ন নিষেধ। সাগরে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল আরও বাড়ানো হচ্ছে। সমুদ্রে এবছর বিমান বাহিনী ড্রোনের মাধ্যমে টহল দেবে।'
অপু সাহা আরও বলেন, 'জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জেলেদের সঠিক সময় প্রণোদনা দেয়া হবে। জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা মানায় সাগরে মাছ বেড়েছে এবং কিনারেও বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে।' - গোফরান পলাশ