News update
  • UN Warns Gaza Fuel Crisis Threatens Humanitarian Collapse     |     
  • WHO’s Saima Wazed placed on indefinite leave amid graft probe     |     
  • UNRWA Commissioner-Gen. on Gaza: 800 starving people killed     |     
  • 150,000 Rohingya flee to BD amid renewed Myanmar violence     |     
  • Scrap trader hacked, stoned dead: 2 Jubo Dal men expelled      |     

কলাপাড়ায় সড়ক সংস্কার প্রকল্পে ভেকু!, সুবিধাভোগীদের পাওনা লোপাট

যোগাযোগ 2023-05-10, 11:09pm

human-chain-in-kalapara-3b1c20f17fd3321b78cd9985c06844d61683738582.jpg

Human chain in Kalapara.



পটুয়াখালী: ৪০ দিনের কর্মসূচিতে রাস্তায় কাজের জন্য শ্রমিকের পরিবর্তে ভেকু দিয়ে কাজ করিয়ে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নে দু'টি রাস্তা মেরামতে এ কর্মসূচির আওতাধীন ১২৮ জন শ্রমিকের তালিকা সাজিয়ে দুই প্রকল্পে রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্ধ হওয়া ২০ লাখ ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ৭, ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুর ইসলাম ও সিদ্দিক হওলাদার এবং প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উক্ত ইউপির ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোসা. কুলসুম আক্তার।

এমন অভিযোগ করে গত ৩০ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেছেন সুবিধাভোগীর তালিকায় থাকা বঞ্চিতরা।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২২-২৩ অর্থ-বছরের এই কর্মসূচির তালিকা অভিযুক্তরা নিজেদের মতো করে সাজিয়ে এবং লেবার দিয়ে কাজ না করিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে এই কাজ সমাপ্ত করে টাকা আত্মসাৎ করেন। 

জানা যায়, গত ২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ধুলাসার ইউনিয়নের চর-গঙ্গামতির বাদলের বাড়ি হইতে ফরেস্ট অফিস হয়ে পাকা রাস্তার মাথা পর্যন্ত এবং কাউয়ারচর বটতলা থেকে সাগরপাড় পর্যন্ত রাস্তা মেরামত বাবদ এই প্রকল্পের আওতায় দিনমজুরের পরিবর্তে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ উঠিয়ে নিয়েছে মেম্বররা। তবে বেশ কিছু দিনমজুর খেটে খাওয়া শ্রমিকের নাম তালিকায় থাকলেও তারা নিজেরাই জানেনা যে এই কাজ তাদের করার কথা কিংবা তাদের নামে এই কাজ এসেছে।

সুবিধাভোগীর তালিকায় ৫১ নাম্বারে থাকা পাপিয়া নামের গৃহিণী বলেন, গত ৬-৭ মাস আগে আমাদের মহিলা মেম্বার একজন সিম বিক্রেতাকে সাথে করে নিয়ে বাড়িতে এসে আমার হাতের টিপসই নিয়ে যায় আর বলে যে এই সিমে কৃষি নামের টাকা আসবে। পরে আপনাদের সিম দিয়ে যাওয়া হবে। এর পরে আর তার আর কোনো খোঁজ নেই। এখন শুনি সেই নামে আমরা নাকি দৈনিক ৪০০ টাকা বেতনে কাজ করেছি। এ ব্যপারে আমরা কিছুই জানিনা।

সুবিধাভোগীর তালিকায় থাকা সুজন নামের এক কৃষক জানান, এই রাস্তা গত কয়েকমাস আগে ভেকু মেশিন দিয়ে  করানো হয়েছে। এটা এলাকার সবাই দেখেছে। অথচ এখন দেখি লিষ্টে ৫৫ নাম্বারে আমার নাম। শুধু আমি না এলাকার অনেক অসহায় মানুষের নাম দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে ওয়ার্ডের মেম্বাররা। আমরা ডিসির কাছে অভিযোগ দিয়েছি। সাধারণ গরিব মানুষকে ঠকানো হয়েছে। এর সঠিক বিচার চাই।

এ ব্যপারে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর বলেন, রাস্তার মাটি কাটার সময়ে কিছু জায়গায় পানি থাকার কারনে আমরা অল্প কিছু কাজ ভেকু দিয়ে করিয়েছি। তবে এই লিষ্টে আমার, আমার স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের নাম আমি দেইনি। ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করে এই নামগুলো দেয়া হয়েছে। আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি।

৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুর ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, রাস্তার কাজ কিছু ভেকু দিয়ে করানো হয়েছে। আর কিছু লেবার দিয়ে করানো হয়েছে। সবাই মাটি কাটার কাজ করে না, তাই আমরা নামে-বেনাম তালিকা করেছি। তবে কারা অভিযোগ করেছে তা জানা নেই বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উক্ত ইউপির ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোসাঃ কুলসুম আক্তার বলেন, এই কাজে পুরোপুরি না, একটু অনিয়ম হয়েছে। যেখানে মাটি ছিলনা সেখানে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। আর আমি কাজের কাছে ছিলাম না, ছিল দুই মেম্বর। আমার নামে সিম আনার কথা বলতেছে, এগুলো মিথ্যা। যারা এগুলো বলতেছে তারা নির্বাচনী প্রতিপক্ষ।

ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুর রহিম বলেন, আমি সবসময় কাজের কাছে থাকতে পারিনি। তবে কাজ মোটামুটি হয়েছে দেখে স্বাক্ষর করেছি। তবে এখানে অনিয়ম হয়েছে। আর কিছু জায়গায় পানি থাকার কারনে ভেকু দিয়ে কাজ করেছে তারা।

কলাপাড়া ইউএনও মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এই কাজ  অতিদরিদ্রদের জন্য। কোনো ভাবেই ভেকু মেশিন দিয়ে করার সুযোগ নেই। - গোফরান পলাশ