Adv Badruddoza Suja, president and Adv Kazi Abul Khair, secretary general of Muslim League
টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। দলীয় সভাপতি এড. বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বেনিয়া ইংরেজ কর্তৃক রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের পর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর লাখেরাজ সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে তা ইংরেজদের অনুগত হিন্দু জমিদারদের নিকট হস্তান্তর কর হয়, যাতে ১৭৬৫ সালের পর বেশীর ভাগ মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মুঘল শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি মুসলমানদের মাদ্রাসা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে তারা মাদ্রাসায় খ্রিষ্টান প্রিন্সিপাল নিয়োগ করত। ফলাফল হিসাবে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে মুসলমানরা রাজার জাতি থেকে ভিখারির জাতীতে পরিণত হয়, আর ইংরেজরা তাদের ক্ষমতা ২০০বছর দীর্ঘায়িত করে শাসন, শোষণ ও লুটপাট চালাতে সক্ষম হয়েছিল। টাঙ্গাইলের দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসায় হিন্দু অধ্যক্ষ নিয়োগ ঐতিহাসিক এই সত্যকে আবারো নতুন করে মনে করিয়ে দিচ্ছে। অতি উৎসাহী কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তার কাণ্ড-জ্ঞানশূন্য এ সিদ্ধান্ত বিশেষ কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এই অতি উৎসাহী শ্রেণীকে চিহ্নিত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা হলে, ধর্মনিরপেক্ষতাকে ঢাল বানিয়ে ভবিষ্যতে এরা মসজিদ/মন্দির/গির্জা/প্যাগোডা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদের জন্য ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নিয়োগের মত অবাস্তব সুপারিশ করে বসতে পারে। সকল ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা চলে না। এ ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসায় প্রথা অনুযায়ী নতুন প্রিন্সিপাল নিয়োগ ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবী জানিয়ে নেতৃবৃন্দ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে বরাবরের মত নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে পরিচালিত হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও সংশোধনের দাবী জানিয়েছেন। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বার্তা প্রেরক, কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব – ০১৮১৭০১৪৪৪০